ব্যবস্থা না নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা, মুখ্যসচিব-ডিজি-কে ডাক ধনখড়ের

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ রাজ্যপালের। 

Updated By: Dec 15, 2019, 10:26 PM IST
ব্যবস্থা না নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা, মুখ্যসচিব-ডিজি-কে ডাক ধনখড়ের

নিজস্ব প্রতিবেদন: সময়ের দাবি, দেশের স্বার্থ দেখুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংবিধানিক দায়িত্বের কথা স্মরণ করালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আগামিকাল অর্থাত্ সোমবার রাজভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিসের ডিজি-কে। 

রাজ্যপাল এদিন বলেন,''এমন প্রেক্ষাপটে আমাদের ভূমিকা হওয়া উচিত একমুখী। দেশের স্বার্থই এখন অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলার প্রতি একটা দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু বিপজ্জনক খেলা চলছে। সরকারের সবরকম পদক্ষেপ করা উচিত। আমি বিস্মিত, তারা চেষ্টা করছে, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার। তাঁদের আবেদন করছি, অন্তরাত্মার ডাকে সাড়া দিয়ে সংবিধানের শপথ মাথায় রেখে ব্যবস্থা নিন।'' 
      

এর পাশাপাশি রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেও মনে করেন রাজ্যপাল। তাঁর মতে, সংবিধানের আদর্শ ও আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে রাজ্যে। সোমবার সকাল ১০টায় রাজ্য পুলিসের ডিজি ও মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজভবনে। তাঁদের কাছ থেকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানবেন রাজ্যপাল। 

রাজ্যে নাগরিক সংশোধনী আইন কার্যকর হতে দেবেন না বলে বিজ্ঞাপন দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বলেছেন, বলেন,''রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হবে না বলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। এটা কীভাবে বলা যেতে পারে? এমন ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। মানুষের করের টাকায় আইনবিরুদ্ধ কাজ। এটা সংবিধান অনুমোদন দেয় না।'' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর বার্তা, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি, বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করুন। সামলাতে না পারলে সংবিধানে সাহায্য চাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। 

গত ৩ দিন ধরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় উত্তাল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিবার্তা দিয়ে আরও একবার আশ্বস্ত করেন, রাজ্যে NRC ও CAA কার্যকর করতে দেবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, ,''রাজ্য সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি-র  বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি সমস্ত রকম দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও শান্তি নষ্ট করার যাবতীয় প্রচেষ্টারও ঘোর বিরোধী। আমরা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে যাবতীয় বিরোধিতা করতে চাই কেবলমাত্র গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে। কিছু রাজনৈতিক দল সম্প্রীতি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে রাজ্যজুড়ে অশান্তির আবহ ও দাঙ্গা তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমি সকলকে অনুরোধ করছি, তাদের এই অসাধু উদ্দেশ্যে কর্ণপাত না করতে। সকল রাজ্যবাসীর কাছে আমার  সনির্বন্ধ অনুরোধ যে সবাই  শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখুন।''

আরও পড়ুন- বিক্ষোভের ছবিই বলে দিচ্ছে নাগরিকত্ব আইন এনে দেশকে বাঁচিয়েছে মোদী: প্রধানমন্ত্রী

.