বহুদিন পর মহানগর ফের দেখল লাল ঝাণ্ডার দাপট
ব্যারিকেড ভেঙে খান খান। রাজপথ দাপিয়ে এগিয়ে চলেছে মিছিল। বহুদিন পর মহানগরীর রাজপথে আবার লাল ঝান্ডার দাপট। দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে ভোট। ঠিক তার আগে নবান্ন অভিযান থেকেই উজ্জীবিত বামেরা অন ইয়োর মার্ক।
ব্যুরো: ব্যারিকেড ভেঙে খান খান। রাজপথ দাপিয়ে এগিয়ে চলেছে মিছিল। বহুদিন পর মহানগরীর রাজপথে আবার লাল ঝান্ডার দাপট। দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে ভোট। ঠিক তার আগে নবান্ন অভিযান থেকেই উজ্জীবিত বামেরা অন ইয়োর মার্ক।
ব্যারিকেড ভাঙছে। এক, দুই... তিন নম্বর ব্যারিকেড ভেঙেও এগিয়ে চলল মিছিল।
বামপন্থীদের মিছিল আটকাতে রীতিমতো নাজেহাল পুলিস। অবশেষে শুরু লাঠিচার্জ। রানি রাসমণি থেকে খিদিরপুর, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে অথবা মন্দিরতলা- সর্বত্রই একই ছবি।
কোথাও মাথা ফাটল নেতৃত্বের। কোথাও লাঠির আঘাতে মাটিতে পড়ে কাতরালেন বাম কর্মীরা। তবুও দুর্বার মিছিল।
একমাস আগে নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় চারটি বামপন্থী কৃষক সংগঠন। পরে তার সঙ্গে যুক্ত হয় আরও সতেরোটি গণ সংগঠন। তবে নবান্ন অভিযান নিয়ে সেই অর্থে কোনও আলোড়ন ছিল না। বৃহস্পতিবার বাস্তবে কিন্তু দেখা গেল একেবারেই অন্য ছবি। প্রতিটি জমায়েতেই লাল নিশান হাতে কাতারে কাতারে বাম কর্মীদের ভিড়। লক্ষ্য নবান্ন। এত মানুষ দেখে তখন রীতিমতো দিশাহারা পুলিস। কত লোক হয়েছিল? সংগঠকদের দাবি, কয়েক লক্ষ। সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে, তবে বহুদিন পরে কলকাতার রাজপথের দখল নিল বামেরা। মিছিল যে এত বড় হবে, সম্ভবত তা আন্দাজ করতে পারেনি প্রশাসনও। জমায়েত রুখতে তাই নির্বিচারে চলল লাঠি, গ্যাস, জলকামান। তবে শেষমুহুর্তে যদি নেতৃত্ব রাশ টেনে না ধরতেন, তাহলে লাঠি চালিয়ে যে জমায়েত আটকানো যেত না, সেই ছবিটা কিন্তু স্পষ্ট। দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা ভোট। তার আগে জঙ্গি মেজাজের এদিনের মিছিল নিঃসন্দেহে চাঙা করল বাম কর্মীদের।