Jharkhand MLA arrest Case: 'সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হোক', হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়ক
হাওড়ার রানিহাটিতে ৪৯ লক্ষ টাকা-সহ গ্রেফতার পড়শি রাজ্যের ৩ বিধায়ক। তদন্তে সিআইডি।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়ক গ্রেফতার কাণ্ডে তদন্তে সিআইডি-কে বাধা দিল্লি পুলিসের! প্রতিবাদে যেদিন রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করল তৃণমূল, সেদিনই সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন পড়শি রাজ্যের ৩ বিধায়ক। কেন? মামলাকারীদের আইনজীবীর দাবি, 'তদন্তকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা হচ্ছে। এফআইআরের কপি দেওয়া হচ্ছে না'। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ফের মামলার শুনানি।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। সেদিন বিকেলে হাওড়ার রানিহাটিতে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে কালো রংয়ের একটি গাড়ি আটক করে পুলিস। শুধু তাই নয়, 'কংগ্রেস বিধায়ক, ঝাড়খণ্ড' লেখা বোর্ড লাগানো সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৪৯ লাখ টাকা। গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ককে।
এত টাকা কোথায় থেকে এল? কোথায়ই বা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? তদন্তে নেমেছে সিআইডি। জানা গিয়েছে, মধ্য কলকাতার সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে উঠেছিলেন ধৃত ৩ বিধায়ক। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আরও একজন। হোটেলে কোনও এন্ট্রি হয়নি। ভিআইপি হিসেবে তাঁরা হোটেল ঢোকেন। তদন্তকারীদের অনুমান, ৪৯ লক্ষ টাকার হাত বদল হয়েছিল কলকাতাতেই!
তাহলে কেন সিবিআই তদন্তের দাবি? এদিন হাইকোর্টে ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়কের আইনজীবী বলেন, 'হিসেব বর্হিভূত টাকা উদ্ধার হলে পদক্ষেপ করতে পারে আয়কর দফতর। কিন্তু এই মামলার তদন্ত করার কোনও অধিকার নেই সিআইডি। মামলাটিতে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক রং লাগানো শুরু হয়েছে। এখানে সুবিচার পাওয়া সম্ভব নয়'। সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে, অবিলম্বে তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: SSC Scam, Partha Chatterjee, Arpita Mukherjee: এবার ৩ দিন, ফের ইডি হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা
অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডে নাকি সরকার ফেলার চক্রান্ত করছিলেন ওই ৩ বিধায়ক। এমনকী, সেই সূত্রেই অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তাঁরা। মধ্যস্তকারী ছিলেন দিল্লির বাসিন্দা সিদ্ধার্থ মজুমদার। কিন্তু এদিন যখন সার্চ ওয়ারেন্ট দক্ষিণ দিল্লিতে সিদ্ধার্থের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান সিআইডি আধিকারিক, তখন তাঁদের তল্লাশি অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিস।
এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভার সরব হন তৃণমূল সাংসদ। তাঁদের দাবি, নিয়ম মেনেই দিল্লিতে সিদ্ধার্থ মজুমদারের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান গিয়েছিল সিআইডি। স্থানীয় আর কে পুরম থানায় আগাম খবরও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু থানা থেকে এসকর্ট দেওয়ার পরেও তল্লাশির অনুমোদন বাতিল করা হয়। রাজ্যসভায় তখন ইউএপিএ নিয়ে আলোচনা চলছিল। অধিবেশনে বিষয়টি তোলার অনুমতি দেননি চেয়ারম্যান। প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন তৃণমূল সাংসদরা।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। যেদিন টাকা উদ্ধার হয়, সেদিন দলের তরফে টুইট করা হয়, 'ইডি কি বাছাই করে কয়েকজনের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করছে'? 'পূর্ণাঙ্গ তদন্তে'র দাবি তোলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।