জামিন নাকচ: আমরিকাণ্ডে পুলিসি হেফাজতে দুই চিকিৎসক
আমরি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল আরও দুই চিকিত্সককে। আজ সকালে গ্রেফতার করা হয় ডা. মণি ছেত্রী ও ডা. প্রণব দাশগুপ্তকে। এর আগে লালবাজারে ডেকে ডা. মণি ছেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস।
আমরি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল আরও দুই চিকিত্সককে। শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করা হয় ডা. মণি ছেত্রী ও ডা. প্রণব দাশগুপ্তকে। এর আগে লালবাজারে ডেকে ডা. মণি ছেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। ডা. প্রণব দাশগুপ্ত দেশের বাইরে ছিলেন। এদিন প্রণব দাশগুপ্ত দেশে ফেরার পর দুই চিকিত্সককে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওদিকে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বুকে ব্যাথা অনুভব করায় এসএসকে এম-এর আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে ধৃত চিকিত্সক মণি ছেত্রীকে।
তাঁদের গ্রেফতারের ঘটনায় বিভিন্নমহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মণি ছেত্রী আমরির ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তাঁর নামেই আমরির লাইসেন্স ছিল। প্রণব দাশগুপ্ত আমরির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য। বালিগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে কারণ আমরি কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন। আমরির পরিচালন সমিতিতে সরকারি প্রতিনিধি থাকলেও, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। হলফনামার ভিত্তিতে আমরির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাকে ছাড়পত্র দিয়েছিল দমকল। তাই কেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
গত ৯ ডিসেম্বর ঢাকুরিয়ায় আমরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ৯৪ জন৷ পুলিসের অনুমান বেসমেন্টের দাহ্য পদার্থ থেকে আগুন লাগে আমরিতে। হাসপাতালে বন্ধ ছিল স্মোক অ্যালার্মও। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারায় রোগীরা।