Primary TET: প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি চাই, ১ দিনে হাইকোর্টে ১৪০০ আবেদন!
আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন আরও দু'হাজার চাকরিপ্রার্থী। জরুরিভিত্তিতে মামলাটি গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার শুনানির সম্ভাবনা বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে।
![Primary TET: প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি চাই, ১ দিনে হাইকোর্টে ১৪০০ আবেদন! Primary TET: প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি চাই, ১ দিনে হাইকোর্টে ১৪০০ আবেদন!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/10/14/392883-sabababa.jpg)
অর্ণবাংশু নিয়োগী: ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি মেলেনি। প্রাথমিক শিক্ষক পদে 'চাকরি' চেয়ে এবার ১৪০০ আবেদন জমা পড়ল হাইকোর্টে, তাও আবার মাত্র ১ দিনেই! আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন আরও দু'হাজার চাকরিপ্রার্থী। মঙ্গলবার মামলার শুনানি হতে পারে বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এখন ইডি-র হেফাজতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি কিংপিন মানিকই! তিনি যখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন ৫৮ হাজার পদে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে! শুধু তাই নয়, ধৃতের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ৪৪ জনের কাছ থেকে চাকরির জন্য ৭ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে পুজোর মধ্যেও প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তায় বিক্ষোভের অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপর যখন আরও ২ মাস ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা, তখন কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এবার চাকরি চেয়ে একইদিনে হাইকোর্টে আবেদন করলেন ১৪০০ জন। তাঁরা ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত ছাড়াল ৩০ হাজার, চাঞ্চল্যকর তথ্য নজরদারি কমিটির রিপোর্টে
এর আগে, ২০১৪ সালের টেট ভুল প্রশ্নের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১৮৭ জন। মামলাকারীদের দাবি ছিল, নিয়ম অনুযায়ী ভুল প্রশ্ন 'অ্যাটেন্ড' করলে বা উত্তর দিলেই নম্বর পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে যদি তেমনটা করা হত, তাহলে টেটে উত্তীর্ণ হতেন তাঁরা। স্রেফ ক্ষতিপূরণ দেওয়া নয়, ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।আদালতের নির্দেশে ইন্টারভিউতে ডাকা হয় তাঁদের। এমনকী, ১৮৫ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। সমস্য়ার কারণে আপাতত ২ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া যাচ্ছে না বলে পর্ষদ সূত্রে খবর।
চতু্র্থীতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ। শূন্য়পদের সংখ্য়া এগারো হাজারের মতো। কারা আবেদন করতে পারবেন? এখনও পর্যন্ত যাঁরা টেট পাস করেছেন এবং যাঁদের বয়স চল্লিশের মধ্যে, যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, এমনকী ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষে যাঁরা প্রথম সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরাও। ২১ অক্টোবর থেকে আবেদন জানানো যাবে।