Sexsomnia or Sleep Sex: ঘুমের মধ্যে যৌনাচারের ইচ্ছা? এ কি কোনও রোগের লক্ষণ?
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সঙ্গম? যেকোনও বয়সেই এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের নানা উপসর্গও থাকে। যেমন- অতিরিক্ত রাগ, ভুলে যাওয়ার রোগ, মানসিক একাধিক সমস্যা, লজ্জায় পড়ে যান নিজের যে কোনও কাজ নিয়ে। নয়া রোগ নিয়ে সতর্ক থাকুন।
![Sexsomnia or Sleep Sex: ঘুমের মধ্যে যৌনাচারের ইচ্ছা? এ কি কোনও রোগের লক্ষণ? Sexsomnia or Sleep Sex: ঘুমের মধ্যে যৌনাচারের ইচ্ছা? এ কি কোনও রোগের লক্ষণ?](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/12/14/399996-physical.jpg)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সঙ্গমের পর গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়া কোনও অসুখ কিংবা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার লক্ষণ নয়। কিন্তু ঘুমের মধ্যেই যৌনাচারের ইচ্ছে জেগে ওঠা অবশ্যই চিন্তার। সম্প্রতি আমেরিকায় এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। এক ব্যক্তির সঙ্গেই ঘটেছে এই কান্ড। তাঁর স্ত্রী গোটা ঘটনাটি জানিয়েছেন এক সংবাদমাধ্যমকে। মহিলা জানিয়েছেন, 'আমি একদিন একটু আগেই ঘুমিয়েছি। আমি ভেবেছি আমার স্বামীও ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু হঠাৎই দেখলাম আমার স্বামী ঘুমের মধ্যেই যৌন কার্যকলাপ করতে আগ্রহী হয়ে পড়েছে৷ অথচ পরের দিন ঘুম থেকে ওঠার পর ওকে যখন বললাম, ও আকাশ থেকে পড়ল। কিচ্ছু মনে নেই ওর।"
এখন প্রশ্ন হল কেন এমনটা হয়? এটা কি স্বাভাবিক?
চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। এর পোশাকি নাম হল- sexsomnia (সেক্সোমনিয়া)। এটি একটি রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ঘুমের মধ্যেই সঙ্গমে লিপ্ত হন, কিন্তু তারপর আর কিছু মনে থাকে না তাঁদের। তথ্য বলছে, ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জনের এমন মনস্তত্ত্ব কাজ করে। ঘুম সংক্রান্ত রোগ রয়েছে যাদের, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ থেকে থাকে। সাধারণত বয়ঃসন্ধিতে এই রোগটি আসতে পারে। ঘুমের মধ্যে যে এমন ঘটনা ঘটছে সেক্সোমনিকদের তা ঘুম থেকে উঠলে আর মনেও থাকে না। এদের পাশে কে শুয়ে আছেন তা বিচার করার ক্ষমতা থাকে না। ঘুমের মধ্যে জেগে ওঠে যৌন প্রবৃত্তি।
তবে এই রোগটি থাকলে খুব চিন্তার কিছু নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মাধ্যমে এর ট্রিটমেন্ট করা যায়। অনেকক্ষেত্রেই ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে এই সব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে। তবে মামলার শুনানিতে এই রোগটিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। দেখা গিয়েছে এই রোগে আক্রান্তরা অজ্ঞানে এবং নিজের অজান্তেই এই কাজ করে ফেলেন। সচেতনভাবে এভাবে যৌনাচারে লিপ্ত হন না।
যেকোনও বয়সেই এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের নানা উপসর্গও থাকে। যেমন- অতিরিক্ত রাগ, ভুলে যাওয়ার রোগ, মানসিক একাধিক সমস্যা, লজ্জায় পড়ে যান নিজের যে কোনও কাজ নিয়ে। যদিও মনোবিদরা জানান যে এই রোগ সারানোর কোনও ওষুধ হয় না। পুরোটাই মনের। তবে কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
আরও পড়ুন, Weight loss: ওজন কমান ম্যাজিক জলে! কী কী উপাদান থাকছে এই পানীয়ে, জানলে চমকে যাবেন