রুখতে পারবে করোনার সব রকম স্ট্রেনের সংক্রমণ! শুরু হচ্ছে এমনই শক্তিশালী টিকার ট্রায়াল

এই টিকা তৈরি করেছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানান, সব রকম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধের লক্ষ্যেই এই টিকা তৈরি করা হয়েছে।

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Aug 27, 2020, 12:57 PM IST
রুখতে পারবে করোনার সব রকম স্ট্রেনের সংক্রমণ! শুরু হচ্ছে এমনই শক্তিশালী টিকার ট্রায়াল
—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: যত দিন যাচ্ছে, ততই ভোল পাল্টে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস! এ ভাবে দ্রুত চরিত্র বদলে সমস্যা বাড়বে টিকা তৈরির ক্ষেত্রেও, যা নতুন করে ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। সম্প্রতি লন্ডনের কিংস কলেজের একদল গবেষক রোগীদের থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ছয় রকমের করোনাভাইরাসের অস্তিত্বের সন্ধান দিয়েছেন। গবেষকদের দাবি, ছয় রকমের করোনাভাইরাসের উপসর্গগুলিও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। ফলে যত দিন যাচ্ছে, ততই ভোল পাল্টে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। তবে এ বার করোনাভাইরাসের সব রকম স্ট্রেনের সংক্রমণের রুখতে সক্ষম এমন শক্তিশালী প্রতিষেধক তৈরি করে ফেললেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।

নতুন এই প্রতিষেধকটি তৈরি করেছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানান, শুধু Covid-19 নয়, সব রকম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধের লক্ষ্যেই এই টিকা তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শীঘ্রই এই প্রতিষেধকটির ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে।

জানা গিয়েছে, নতুন এই প্রতিষেধকটির নাম DIOS-CoVax2। এই প্রতিষেধকের গবেষণা ও তৈরির ক্ষেত্রেও আর্থিক অনুদান দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। অক্টোবরেই এই প্রতিষেধকটির প্রথম পর্বের ট্রায়াল শুরু হবে। জানা গিয়েছে, এই প্রতিষেধকটির ট্রায়ালে কোনও সূচ ব্যবহার করা হবে না। অর্থাৎ, এই প্রতিষেধকটি ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হবে না বলেই জানা গিয়েছে।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভাইরাল জুনটিক্স ল্যাবরেটরি’র প্রধান জোনাথন হিনে জানান, এই প্রতিষেধকের ফর্মুলা এখনই সামনে আনা সম্ভব নয়। তিনি জানান, এই প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে করোনার স্ট্রেন সরাসরি নেওয়া হয়নি। পরীক্ষাগারে বিশেষ উপায় সিন্থেটিক স্ট্রেন বানানো হয়েছে যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে যে কোনও রকম আরএনএ ভাইরাসের স্ট্রেনের মোকাবিলা করার জন্য সক্রিয় করে তুলতে সক্ষম।

আরও পড়ুন: মানুষের শরীরেই রয়েছে করোনা-রোধী শক্তিশালী টি-সেল! সন্ধান দিলেন বিজ্ঞানীরা

সম্প্রতি ‘নেচার’ পত্রিকায় একদল বিজ্ঞানী দাবি করেন, করোনার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি বড়জোড় দুই থেকে ছ’মাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম! অর্থাৎ, খুব বেশিদিন পর্যন্ত এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারছে না করোনা-জয়ী মানুষের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি। তার উপর চরিত্র দ্রুত বদলে ফেলে ক্রমশ আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস! এই পরিস্থিতিতে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি এই টিকার ট্রায়ালের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।

.