Aindrila Sharma's Last Rites : 'পেয়েছি ছুটি, বিদায় দেহো ভাই, সবারে আমি প্রণাম করে যাই...'
হাসপাতালের চারপাশে তখন তাঁকে দেখতে ভিড় করেছেন অগণিত অনুরাগী। আর তো দেখা হবে না, তাই একটি বার, শুধু একটি বার তাঁকে দেখার আশায় ভিড় করেছিলেন ওঁরা। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে এল শববাহী গাড়ি, সেখানেই শুয়ে সকলকে বিদায় জানালেন ঐন্দ্রিলা। রবি ঠাকুরের কথাতেই যেন সবাইকে বললেন, 'পেয়েছি ছুটি, বিদায় দেহ ভাই / সবারে আমি প্রণাম করে যাই। ফিরায়ে দিনু দ্বারের চাবি, রাখি না আর ঘরের দাবি / সবার আজ প্রসাদবাণী চাই।'
Aindrila Sharma Passes Away, অনসূয়া বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবব্রত বিশ্বাস : হাসপাতালের চারপাশে তখন তাঁকে দেখতে ভিড় করেছেন অগণিত অনুরাগী। আর তো দেখা হবে না, তাই একটি বার, শুধু একটি বার তাঁকে দেখার আশায় ভিড় করেছিলেন ওঁরা। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে এল শববাহী গাড়ি, সেখানেই শুয়ে সকলকে বিদায় জানালেন ঐন্দ্রিলা। রবি ঠাকুরের কথাতেই যেন সবাইকে বললেন, 'পেয়েছি ছুটি, বিদায় দেহ ভাই / সবারে আমি প্রণাম করে যাই। ফিরায়ে দিনু দ্বারের চাবি, রাখি না আর ঘরের দাবি / সবার আজ প্রসাদবাণী চাই।'
হাসপাতাল থেকে বের হয়ে শবযানে করে ঐন্দ্রিলা চললেন তাঁর কুঁদঘাটের বাড়ির উদ্দেশ্যে। পিছু নিয়েছিলেন বহু অনুরাগী, সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিক। সামনে চালকের পাশে বিষণ্ণ চেহারায় বসে বন্ধু, প্রেমিক, অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। মুখ নামিয়ে বসে ছিলেন। এদিন ঐন্দ্রিলাকে বিদায় জানাতে হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিধায়ক, পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। তাঁরাও এদিন ঐন্দ্রিলার কুঁদঘাটের বাড়িতে যান। এরপর কুঁদঘাটের বাড়ির সামনে ঐন্দ্রিলাকে নামাতেই সেখানে ভিড় করলেন আরও অনেক অনুরাগী। সেখানেও ছিলেন সব্যসাচী, তবে গাড়ি থেকে দেহ কুঁদঘাটের বাড়িতে ঐন্দ্রিলার দেহ নামানোর পর সব্যসাচীকে ক্যামেরার ফ্ল্যাশের সামনে আর দেখা গেল না। দেখা গেল, ঐন্দ্রিলার মা, বাবা, দিদি সহ নিকট আত্মীয়দের। সেখানে মেয়েকে শেষবারের মতো আদর করতে, মুখে চুমু এঁকে দিতে দেখা গেল ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মাকে। মৃত মেয়ের সঙ্গেই বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে গেলেন শিখা শর্মা। হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখা গেল অভিনেত্রীর বাবাকেও। ঐন্দ্রিলাকে বিদায় জানাতে এদিন তাঁর কাছে নিয়ে আসা হয় তাঁর দুই পোষ্যকেও।
আরও পড়ুন-না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা, ফেসবুক প্রোফাইল মুছলেন শোকবিহ্বল সব্যসাচী
ঐন্দ্রিলার মৃত্যু প্রসঙ্গে এদিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, 'মর্মান্তিক, আমাদের মনে আছে ও এবার টেলি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল। সেদিন অনেকক্ষণ কথা হয়েছিল। এটা এখনও ভাবা যাচ্ছে না। ভেবেছিলাম ও ফিরে আসবে, সেটা হল না। তবে ও ভীষণই কঠিন লড়াই লড়েছে।'
আরও পড়ুন-'পাড়ার দস্যি মেয়ে আজ একেবারে শান্ত!', ঐন্দ্রিলার মৃত্যুতে বিষণ্ণ বহরমপুর
এদিক কুঁদঘাটের বাড়ির সামনে ঐন্দ্রিলাকে শেষবারের মতো সাজিয়ে দিতে দেখা যায় তাঁর দিদিকে। কুঁদঘাট থেকে বের হয়ে ঐন্দ্রিলার দেহ রাখা হয় টেকনিশিয়ানস স্টুডিওতে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহকর্মীরা। দেখা যায় অভিনেত্রী, ঐন্দ্রিলার বন্ধু ঊষসী চক্রবর্তী, শ্রীতমা ভট্টাচার্য, জয়জিৎ মুখোপাধ্যায় সহ ছিলেন আরও অনেকে। এত লোকজনের সামনেও হাউ হাফ করে কেঁদে ফেললেন ঐন্দ্রিলার মা।
আরও পড়ুন- 'সে চলে গেলেও থেকে যাবে তার স্পর্শ আমার হাতের ছোঁয়ায়…'
টেকনিশিয়ানস স্টুডিয়ো থেকেই ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে, সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ঐন্দ্রিলা শর্মার।