Sonu Sood: চ্যারিটি ফান্ডে অবশিষ্ট ১৭ কোটি টাকার হিসেব দিলেন অভিনেতা
তল্লাশির পর আয়কর বিভাগের অফিসারদের অভিনেতা জানান যে আগামী দিনে তাঁদের মিস করবেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সম্প্রতি আয়কর বিভাগ অভিযাান চালায় সোন সুদের (Sonu Sood) অফিস ও বাড়িতে। প্রায় ৪ দিন তল্লাসির পর আয়কর বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয় যে , প্রায় ২০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন অভিনেতা। আয়কর বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয় শুধুমাত্র কর ফাঁকিই নয়,একটি ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্মের জন্য বিদেশ থেকে ২.১০ কোটি টাকা অনুদান নিয়েছেন তিনি। এর দ্বারা বৈদেশিক অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করেছেন সোনু। এছাড়াও এই বছর একটি নন প্রফিট চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের সূচনা করেন অভিনেতা। সেই এনজিওতে এখনও পর্যন্ত অনুদান জমা পড়েছে ১৮ কোটি টাকা। যাঁর মধ্যে ১.৯ কোটি টাকা ব্যবহার করা হলেও বাকি টাকা এখনও রয়েছে সেই সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
সম্প্রতি অভিনেতা জানিয়েছেন যে চারদিন ধরে তাঁর বাড়িতে ও অফিসে তল্লাসি চালায় আয়কর বিভাগের অফিসাররা সেই চারদিন যাতে ঐ অফিসারদের কোনও অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রেখেছেন অভিনেতা। তিনি জানান, তল্লাসির শেষে অফিসাররা তাঁকে বলেছেন যে এযাবৎ এটা তাঁদের তল্লাসি অভিযানের সেরা অভিজ্ঞতা। এরপর অভিনেতা তাঁদের জানান যে আজীবন এটাই তাঁদের সেরা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। পাশাপাশি তিনি অফিসারদের জানান যে এরপর ঐ অফিসারদের মিস করবেন তিনি। সেই কথা শুনে হেসে ফেলেন অফিসাররা।
আরও পড়ুন: Sreemoyee: পুরনো শ্বশুরবাড়িতে কাকে শেষ দেখা দেখতে ছুটে গেলেন শ্রীময়ী?
পাশাপাশি অভিনেতা জানিয়েছেন চ্যারিটি ফান্ডে জমা হওয়া ১৭ কোটি টাকা এখনও রয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেই টাকা দিয়ে আগামী দিনে হায়দ্রাবাদে একটি হাসপাতাল তৈরি করতে চলেছেন সোনু। ইতিমধ্য়েই সেই হাসপাতালের নির্মান কাজে ২ কোটি টাাকা লগ্নিও করে ফেলেছেন তিনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন যে, 'যেকোনও ফান্ডে জমা হওয়া টাকা খরচ করার সময়সীমা একবছর। দরকারে সেই সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে আরও একবছর। প্রথম যখন করোনা ছড়িয়ে পড়ে তখন আমি নিজের টাকা দিয়েই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নিই। তখন কোনও আলাদা ফান্ড ছিল না আমাদের। আমি এই ফান্ড শুরু করেছি কয়েকমাস তাই এই টাকা খরচ করার জন্য আরও সাত থেকে আট মাস সময় রয়েছে আমার হাতে। সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত এই টাকা আমি নষ্ট হতে দেব না।'