Sidhu on Clash in West Bengal: 'রাস্তায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগব',বসিরহাটের শোয়ে যোগদান করলেন না সিধু
রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সিধু লেখেন, 'রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে, কলকাতা থেকে বসিরহাট এতটা দূরত্বের রাস্তা দিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না বলেই মনে হচ্ছে!সাধারণ নাগরিক হিসেবে,পথে বেরিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগব!'
![Sidhu on Clash in West Bengal: 'রাস্তায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগব',বসিরহাটের শোয়ে যোগদান করলেন না সিধু Sidhu on Clash in West Bengal: 'রাস্তায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগব',বসিরহাটের শোয়ে যোগদান করলেন না সিধু](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/06/12/378550-sidhu-cactus.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: মহম্মদ পয়গম্বর নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। বৃহস্পতিবার জাতীয় সড়ক ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবরোধের পর শুক্রবার পাঁচলা বাজারে তাণ্ডব চালাল দুষ্কৃতীরা। হাওড়ার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে মুশির্দাবাদেও। টানা কয়েকদিন ধরে যা চলছে দমন করতে মাঠে নেমেছে পুলিসও। শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পার্কসার্কাস, উলুবেড়িয়া, পোর্টের কাচ্চি সড়ক রোড। সেখানে অবরোধ করা হয়। সেভেন পয়েন্টে জমায়েতের জেরে সংলগ্ন রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় বের হতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সঙ্গীতশিল্পী সিধু।
রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সিধু লেখেন, 'রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে, কলকাতা থেকে বসিরহাট এতটা দূরত্বের রাস্তা দিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না বলেই মনে হচ্ছে!সাধারণ নাগরিক হিসেবে,পথে বেরিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগব! তাই, খুবই আবেগের টান ও প্রবল ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও রবিবার বসিরহাট মিউজিক ফোরামের আয়োজিত বাস্কিং ইভেন্টে যোগদান করতে পারছি না। মনটা তোমাদের সঙ্গেই রইল।' পাশাপাশি তিনি লেখেন যে এই পরিস্থিতির জন্যই ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন সিধু।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের তরফ থেকে সিধুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,'যে যে এলাকার উপর দিয়ে যাব সেখানে যে কোনও অশান্তি হবে না তার কোনও গ্যারান্টি আছে?অশান্তি কোথায় কী হচ্ছে তার খবরও নেই প্রশাসনের কাছে, কন্ট্রোলও নেই। সেটা আমরা দেখতেই পাচ্ছি, তাই না যাওয়াই ঠিক করলাম। অনেক খবর মিডিয়াতেও আসছে না। একথা লেখার পরই কমেন্ট সেকশনে কেউ আমায় টিএমসি, বিজেপি, কেউ সিপিএম বলে দাগিয়ে দিচ্ছে। এই বিপন্নতা কীভাবে কাটিয়ে উঠব তার চেয়ে বেশি মানুষ দায় চাপিয়ে দিতে বেশি উঠে পড়ে লেগেছে। খুবই দুঃখজনক এবং খুবই কনফিউসড সবাই। কী চাইছি আমরা জানি কিন্তু কীভাবে পাব জানি না। সেই পথগুলো খুঁজতে অনাবশ্যক রাজনৈতিক দলের দ্বারস্থ হচ্ছে। কেউ ভাবছে বিজেপির সঙ্গে গেলে সমাধান পাওয়া যাবে, কেউ ভাবছে টিএমসির কাছে গেলে সমাধান পাওয়া যাবে। সবাই কনফিউশড।'
প্রসঙ্গত, শনিবার হাওড়াকাণ্ডে পদ্মশিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আগেও বলেছি, দুদিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে । এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়- কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?'
আরও পড়ুন:Subhashree-Parambrata: 'এই পুজোয় পেটপুজো হোক বৌদি ক্যান্টিনে!', আমন্ত্রণ জানালেন পরমব্রত-শুভশ্রী