Shakib Khan Controversy: ‘টাকার জন্য ফাঁসানো হচ্ছে, শাকিব খান নির্দোষ, প্রমাণ দেবে অস্ট্রেলিয়ান পুলিস’, দাবি আইনজীবীর
Shakib Khan Controversy: সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি ভিডিয়ো বার্তা শেয়ার করেছেন অভিনেতার অস্ট্রেলিয়ার আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘রহমত উল্লাহ যে এই কথাগুলো বলেছেন, এটা আমার কাছে যথেষ্ট সন্দেহজনক মনে হয়েছিল। আমি শাকিব খানের অস্ট্রেলিয়ান আইনজীবী হিসেবে এই ব্যাপারগুলো চেক করেছি পুলিশের সঙ্গে। আমি সেন্ট জর্জ ডিটেকটিভ অফিসে ওদের হেড অব ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছি...'
![Shakib Khan Controversy: ‘টাকার জন্য ফাঁসানো হচ্ছে, শাকিব খান নির্দোষ, প্রমাণ দেবে অস্ট্রেলিয়ান পুলিস’, দাবি আইনজীবীর Shakib Khan Controversy: ‘টাকার জন্য ফাঁসানো হচ্ছে, শাকিব খান নির্দোষ, প্রমাণ দেবে অস্ট্রেলিয়ান পুলিস’, দাবি আইনজীবীর](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/03/21/411914-shakibnew.png)
Shakib Khan, Bangladesh, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিগত কয়েকদিন ধরে শাকিব খানকে নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম ঢালিউড। শাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তিনি চুক্তিভঙ্গ করেছেন। সিনেমার প্রোডাকশনের টাকায় আনিয়েছেন দামী খাবার, তাঁর হোটেলে ছিল যৌনকর্মীদের যাতায়াত, এমনকী সহ মহিলা প্রযোজককে ধর্ষণেরও অভিযোগ ওঠে শাকিবের বিরুদ্ধে। ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন সুপারস্টারের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন শাকিবও। তিনি দাবি করেন যে, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। শাকিব খানের সঙ্গে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবিটি নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভার্টেক্স মিডিয়ার চুক্তি হয়। সেই প্রযোজনা সংস্থার মালিক জানে আলম জানান যে, তাঁর সঙ্গে শাকিবের সম্পর্ক ভালো। তিনিই জানেন না যে, রহমত উল্ল্যাহ এরকম কোনও দাবি করছেন। তিনি পাশে আছেন শাকিবের। ভার্টেক্স মিডিয়ার সঙ্গে সহপ্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত হয় সিনেফ্যাক্ট, যার মালিকানায় আছেন মাহিন আবেদীন, রহমত উল্লাহ ও অস্ট্রেলীয় একজন নারী।
সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি ভিডিয়ো বার্তা শেয়ার করেছেন অভিনেতার অস্ট্রেলিয়ার আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘রহমত উল্লাহ যে এই কথাগুলো বলেছেন, এটা আমার কাছে যথেষ্ট সন্দেহজনক মনে হয়েছিল। আমি শাকিব খানের অস্ট্রেলিয়ান আইনজীবী হিসেবে এই ব্যাপারগুলো চেক করেছি পুলিশের সঙ্গে। আমি সেন্ট জর্জ ডিটেকটিভ অফিসে ওদের হেড অব ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছি। ডিটেকটিভ সার্জেন্ট মাইকেল বাগের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তিনি আমাকে কয়েকটি বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘অভিযোগ তো মানুষ করতেই পারে। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে, অভিযোগ করার পর কী হয়েছিল? নারী সহপ্রযোজক এবং রহমত উল্লাহ শাকিব খানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছিল সিডনি অস্ট্রেলিয়াতে, এই বিষয় তো শাকিব খান অস্বীকার করেননি। এই যে রহমত উল্লাহ মিডিয়ার কাছে এসে বলছেন, শাকিব খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ হওয়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁর নামে মামলা করা হয়েছিল। তিনি নাকি দুবার অস্ট্রেলিয়াতে মামলা থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়াতে যে কেউ পুলিশ স্টেশনে গিয়ে যেকোনো ব্যাপারে একটা রিপোর্ট করলে, তাঁকে একটা ইভেন্ট নম্বর দেওয়া হয়। বাংলাদেশে জিডি বলা হয়। আর আমাদের অস্ট্রেলিয়াতে ইভেন্ট নম্বর বলা হয়। দুটি জিনিস কিন্তু একই। এখন একটা ইভেন্ট নম্বর পাওয়া, মানে এই নয় যে কারও নামে কোনো মামলা দেওয়া হয়েছে।’
উপল আমিন বললেন, ‘আমার ক্লায়েন্ট শাকিব খান ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন এবং ২০১৮ সালেও এসেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় দুবারই—কোনোবারই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি কখনো পালিয়ে যাননি। আমি অস্ট্রেলিয়া থেকে আপনাদের যা বলছি, এটা সম্পূর্ণ অস্ট্রেলিয়ার আইনের ভিত্তিতে কথা বললাম। আমার ক্লায়েন্ট শাকিব খান নির্দোষ, এ ব্যাপারে আমি একটা কনফার্মেশন লেটার পাব অস্ট্রেলিয়ান পুলিস অথরটির কাছ থেকে এবং সেটাও আপনাদের দেখাব। রহমত উল্লাহ যে অভিযোগ করেছেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রহমত উল্লাহর উচিত, এই অভিযোগগুলো প্রত্যাহার করা। আমি শাকিব খানের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত আইনজীবী আপনাদের বলতে চাইছি যে বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে যা প্রোপাগান্ডা চলছে, আমি মনে করি, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। আমার ক্লায়েন্ট শাকিব খানের জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য এই চক্রান্ত চলছে। শাকিব খানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রহমত উল্লাহ এনেছেন, এটা একটা অর্থনৈতিক চক্রান্ত। আমার ক্লায়েন্টের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য রহমত উল্লাহ এই কাজটা করেছেন।’