Sayantika Banerjee | Zayed Khan: ‘সায়ন্তিকাকে নিয়ে আর নয়, বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়েই ছবি করব’ বিস্ফোরক প্রযোজক
Sayantika Banerjee | Zayed Khan: সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জায়েদ খান নাকি তাঁর নামে মিথ্যে প্রচার করছে, এমনই অভিযোগ আনেন প্রযোজক মণিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমার দেশকে অন্য দেশের মানুষ এসে ছোট করতে পারেন না। আজ মাইকেলকে অপমান করেছে, কাল পরিচালকের সঙ্গে করত, আরেক দিন হয়তো ইউনিটের অন্য কারোর সঙ্গে করত। সেটি হতে দেব না’।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশে(Bangladesh) শ্যুটিং করতে গিয়ে বিপত্তির মুখে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়(Sayantika Banerjee)। জায়েদ খানের(Zayed Khan) সঙ্গে ‘ছায়াবাজ’(Chhayabaaz) নামের এক ছবিতে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করতে যান অভিনেত্রী। সেখানেই শুরু ঝামেলা। ওই ছবিটি প্রযোজনা করছেন মনিরুল ইসলাম। আগেই অভিযোগ উঠেছিল যে ছবির শুটিং সেটে কোরিওগ্রাফার অনুমতি না নিয়ে হাত ধরায় বিরক্ত হন সায়ন্তিকা। সেই কোরিওগ্রাফারের বদল চান তিনি। তারপর তিনি ও জাভেদ খান দুজনেই অভিযোগ করেন প্রযোজকের বিরদ্ধে।
আরও পড়ুন- Ranbir Kapoor: ‘এ তো সবে শুরু পাপা, এখনও অনেক কাজ বাকি’, বাবার প্রত্যাশা পূরণের পথে রণবীর!
চুপ থাকেননি প্রযোজকও। তিনিও অভিযোগ করেন যে ড্রেস চেঞ্জের নামে প্রায় ছয়ঘণ্টা হোটেলে কাটিয়ে দেন জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবির প্রযোজক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন জায়েদ খানও। এবার ফের জায়েদ ও সায়ন্তিকাকে নিয়ে অভিযোগ করলেন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। প্রযোজকের দাবি এই গল্প নিয়ে একটি ওয়েব ফিল্ম বানানোর কথা ছিল। কিন্তু জায়েদ খানের অনুরোধেই এই সিনেমা শুরু করেন তিনি। নইলে এই ছবির কোনও পরিকল্পনা তাঁর ছিল না। প্রযোজকের দাবি, ‘জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা মিলে ফাঁসিয়ে দিল আমাকে। কী আর করার, সব বিচার ওপরওয়ালার ওপর ছেড়ে দিলাম।’
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রযোজক বলেন, ‘আমার দেশের শিল্পীকে অপমান করবে, সেটা আমি একজন সিনেমার মানুষ হয়ে মেনে নেব না। কারণ, আমার দেশকে অন্য দেশের মানুষ এসে ছোট করতে পারেন না। আজ মাইকেলকে অপমান করেছে, কাল পরিচালকের সঙ্গে করত, আরেক দিন হয়তো ইউনিটের অন্য কারোর সঙ্গে করত। সেটি হতে দেব না। এর সমাধান না হলে কাজ আর করব না। যা ক্ষতি হয় হবে।’
অন্যদিকে জায়েদ খান বলেন, ‘এই শুটিং এতটাই অব্যবস্থায় ভরা ছিল যে নায়িকার কস্টিউম, হোটেল ভাড়া, খাবারের বিলও আমি দিয়েছি। ১ লাখ ৩০ হাজার হোটেল বিল এসেছিল। প্রযোজক ৯৭ হাজার বিল দিয়ে চলে গেছে। বাকি টাকা আমি দিয়েছি। প্রযোজক প্রতিনিয়তই মিথ্যাচার করছেন। তার কথা–কাজে মিল নেই।’
এ প্রসঙ্গে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাড়া বুঝিয়ে দিয়ে আমরা ঢাকা চলে এসেছি। এরপর শুনেছি, ৭ সেপ্টেম্বরও কারা যেন ছিলেন হোটেলে। সেই টাকা তো আমি দেব না। কারণ, আমার শুটিং প্যাকআপ হয়েছে ৬ সেপ্টেম্বর। আর জায়েদ খানকে নায়িকার ড্রেস দিতে হবে কেন? আমি সায়ন্তিকার ড্রেস বাবদ আলাদা ৫০ হাজার রুপি দিয়েছি। পারিশ্রমিকের মধ্যেই জায়েদ খানের ড্রেসের টাকা ধরা হয়েছে। এত সব মিথ্যাচার আর নিতে পারছি না। এই ছবির কাজ আর করব না। যদি করিও, সায়ন্তিকাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের শিল্পী নিয়ে নতুন করে এই ছবির কাজ শুরু করব।’
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)