Nephew Of Netaji Died: প্রয়াত ‘ইন্ডিয়ার ব্রুসলি’-খ্যাত মডেল-অভিনেতা অর্ধেন্দু বসু, সম্পর্কে নেতাজির ভাইপো...
The Bruce Lee Of India: কোবরা ছবির দৌলতে ভারতের ব্রুস লি হিসাবে পরিচয় পেয়েছিলেন অর্ধেন্দু বসু। মডেল হিসাবে কেটেছে তাঁর কেরিয়ারের বেশিরভাগ সময়। সম্প্রতি মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে খবরটি জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী কারমেন বসু।
![Nephew Of Netaji Died: প্রয়াত ‘ইন্ডিয়ার ব্রুসলি’-খ্যাত মডেল-অভিনেতা অর্ধেন্দু বসু, সম্পর্কে নেতাজির ভাইপো... Nephew Of Netaji Died: প্রয়াত ‘ইন্ডিয়ার ব্রুসলি’-খ্যাত মডেল-অভিনেতা অর্ধেন্দু বসু, সম্পর্কে নেতাজির ভাইপো...](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/08/09/432779-netaji.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রয়াত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভাইপো অর্ধেন্দু বসু। মুম্বইয়ে একসময় মডেল হিসাবে পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। বহু বিজ্ঞাপনে মডেল হিসাবে দেখা যায় তাঁকে, তার মধ্যে অন্যতম বম্বে ডাইয়িংয়ের মুখ ছিলেন তিনি। তাঁকে ভারতের ব্রুসলিও বলা হত। শুধু মডেলিংই নয়, বেশ কিছু সিনেমায় অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কনিষ্ঠ ভাই শৈলেশচন্দ্র বসুর ছেলে ছিলেন অর্ধেন্দু অর্থাৎ সম্পর্কে নেতাজির ভাইপো তিনি। সোমবার মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন অর্ধেন্দু বসু। সংবাদমাধ্যমে খবরটি জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী কারমেন বসু।
গত শতকে সত্তরের দশকে তিনি কলকাতা থেকে মুম্বই চলে যান, সেখানে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন একজন মডেল হিসেবে। এছাড়া তিনি বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘কোবরা’, ‘মেরা ইয়ার মেরা দুশমন’। কোবরা ছবির দৌলতেই একসময় তিনি ভারতের ব্রুস লি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। শুধুমাত্র হিন্দি ছবি নয়, একটি বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। ছবির নাম ‘কালকূট’। পাশাপাশি ১৯৭০ সালে তিনি তৎকালীন বোম্বে ডায়িং কোম্পানির সঙ্গে মডেল হিসেবে চুক্তি বদ্ধ হয়েছিলেন। বহু বছর সেই প্রতিষ্ঠানের মুখ হিসাবে কাজ করেন তিনি। বয়সের কারণে একসময় তিনি এই পেশা থেকে অবসর নেন। তবে অবসরের পর আর কলকাতায় ফেরেননি তিনি, মুম্বইয়েই থাকতেন তিনি।
শুধুমাত্র মডেল বা অভিনয় নয়, এক সময় ইতিহাস এবং রাজনীতি সম্পর্কে আলোচনায় রীতিমতো সক্রিয় ছিলেন অর্ধেন্দু। অর্ধেন্দু আজাদ হিন্দ বাহিনীর যে সমস্ত সৈনিকরা জীবিত ছিলেন তাদের অধিকার রক্ষা নিয়েও তিনি দীর্ঘদিন সরব ছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নেতাজির লড়াইয়ের সময় থেকে কীভাবে তাঁর পরিবারকে ব্রিটিশদের অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়েছিল। এমনকী তাঁর বাবা-মাকেও পর্যন্ত ছাড়েনি ব্রিটিশরা। এই সমস্ত ঘটনা তাঁর শিশুমনে মারাত্মক ছাপ ফেলেছিল।