সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে তথাগতর FIR, কী বললেন Koushik Sen, Rudranil Ghosh, Sidhu
এই ঘটনা কী বলছেন চলচ্চিত্র জগৎ তথা এরাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা।
![](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/styles/zm_98x58/public/2019/01/29/172472-ranita871263.jpg?itok=mVeYazYP)
![সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে তথাগতর FIR, কী বললেন Koushik Sen, Rudranil Ghosh, Sidhu সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে তথাগতর FIR, কী বললেন Koushik Sen, Rudranil Ghosh, Sidhu](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/01/17/302090-5659837654709.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের ২০১৫-র একটি টুইটার পোস্ট। এই অভিযোগে সায়নীর বিরুদ্ধে রবীন্দ্র সরোবর থানায় FIR করেছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। পাশাপাশি, সায়নীর বিরুদ্ধে অসমেও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় কী বলছেন চলচ্চিত্রজগতের মানুষজন বা এ রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা।
কৌশিক সেন (অভিনেতা)
২০১৫ সালে সায়নী যদি তাঁর টুইটার থেকে কোনও পোস্ট করে থাকেন, তাহলে তাঁকে তাঁর দায়িত্ব নিতেই হবে। তবে পোস্টটি যদি কারও ভাবাবেগে আঘাত করে থাকে, তাহলে সেটি তখনই করেছিল। এখন নতুন করে করল, তা নয়। সায়নী বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খোলার পর কেন হল? আমাকে ব্য়ক্তিগতভাবে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, বলব, পোস্টটি রুচিশীল হয়নি। একথা আমি সায়নীকেও বলতে পারি। তবে ৬ বছর আগে সায়নী কোনও পোস্ট করেছিলেন বলে এখন আর তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারবেন না, সেটা তো হয় না।
রুদ্রনীল ঘোষ (অভিনেতা)
ভারতের মতো দেশে বিভিন্ন ধর্ম রয়েছে, সেখানে মানুষ বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন দেবদেবীকে শ্রদ্ধা করেন। তাঁরা তাঁদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসার ভগবানকে কীভাবে ডাকবেন, সেটা একান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত আবেগ। সায়নী বলেছেন, 'জয় শ্রীরাম' বলে হুঙ্কার দেখানো হচ্ছে। এটা না করে ভালোবেসে ভাগবানকে ডাকতে। সেটা সায়নীর ব্য়ক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি। আমি পশ্চিমবঙ্গে কোথাও দেখিনি, ভয় দেখানোর জন্য় জয় শ্রীরাম বলা হচ্ছে। আমার নিজের মনে হয়েছে, সায়নীর বক্তব্য শুনে এবার হিন্দুধর্মের মানুষ তাঁকে চেনার চেষ্টা করছেন, তাঁর ইতিহাস জানার চেষ্টা করছেন। সেটা দেখতে গিয়েই হয়তো তাঁর পুরনো টুইট চোখে পড়েছে। যেখানে শিবকে নিয়ে একটি টুইট ছিল। তাতে কারোর ভাবাবেগে আঘাত লাগতেই পারে। এমন যদি কেউ করেও থাকেন, তাহলে 'আমি করিনি' না বলাই ভালো। তার থেকে অনিচ্ছাকৃতভাবে করেছি বা কাউকে কষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা ছিল না, এমন বলে ক্ষমা চেয়ে নেওয়াই ভালো ছিল। তবে এ ধরনের পোস্টে একটু খেয়াল রাখা উচিত। আমি যেভাবে ভাবছি, দুনিয়া সেভাবে না ভাবতেই পারে। আমি আচার, ধর্মে বিশ্বাস না রাখতেই পারি, তবে প্রচুর মানুষ তাতে বিশ্বাস রাখেন। হিন্দুধর্মের মানুষের খারাপ লাগতেই পারে-- সায়নী এই কথাটা এখন না বললে, কেউ হয়তো অতীতে গিয়ে খুঁজতেন না।
সিধু
শিল্পীর ধর্ম শিল্প। সেই শিল্প তৈরি করতে গিয়ে বিভিন্ন মতামত তৈরি হতেই পারে। ২০১৫ সালে কে কী টুইট করেছিল, সেটাকে মাটির তলা থেকে খুঁড়ে এনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য়ে ব্য়বহার করাকে আমি সমর্থন করছি না। একজন শিল্পী হিসাবে আমার এটাই অনুরোধ, শিল্পীর বাক-স্বাধীনতা রুদ্ধ করা উচিত নয়। তাহলে সেটা আখেরে দেশের শিল্প-সংস্কৃতিরই ক্ষতি।