'জানবাজ'-এর শ্যুটিংয়ে রোম্যান্টিক দৃশ্যে বাড়াবাড়ি হলেই বাবার ধমক খেয়েছি: বনি
'জানবাজ' নিয়েই Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের সঙ্গে আড্ডা জমালেন বনি-কৌশানি।
!['জানবাজ'-এর শ্যুটিংয়ে রোম্যান্টিক দৃশ্যে বাড়াবাড়ি হলেই বাবার ধমক খেয়েছি: বনি 'জানবাজ'-এর শ্যুটিংয়ে রোম্যান্টিক দৃশ্যে বাড়াবাড়ি হলেই বাবার ধমক খেয়েছি: বনি](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/10/24/215128-342123.jpg)
রণিতা গোস্বামী
পর্দার সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনেও বনি-কৌশানির প্রেমটা বেশ জমে উঠেছে। সেই রসায়নই হয়ত ধরা পড়বে তাঁদের আগামী ছবি 'জানবাজ'-এ। কেমন ছিল 'জানবাজ'-এ শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা? তার উপর যখন ছবির পরিচালক বনি সেনগুপ্তের বাবা অনুপ সেনগুপ্ত। যিনিও বহু বছর পর আবারও ছেলে ও হবু বৌমার জুটিকে নিয়েই ফিরলেন পরিচালনায়। 'জানবাজ' নিয়েই Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের সঙ্গে আড্ডা জমালেন বনি-কৌশানি।
'বরবাদ' এর পর তোমাকে সেভাবে অ্যাকশন ছবিতে দেখা যায়নি। এতদিন পর আবারও 'জানবাজ'-এ রোম্যান্টিক হিরো থেকে বনি একেবারে 'অ্যাংরি ইয়ং ম্যান', অভিজ্ঞতা কেমন?
বনি- এটা আমার কাছে একেবারেই নতুন একটা চরিত্র। নতুন একটা চরিত্রকে দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করানোটা একটু কঠিন তো বটেই। আর সেটা আমি ভালোভাবে উতরোতে পেরেছি কিনা, সেটা তো দর্শকরাই বলবেন। তবে আমি আমার ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিক্রমের মতো একজন কয়লা মাফিয়ার ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য একটু পরিশ্রম করতেই হয়েছে। সে কীভাবে হাঁটবে, কীভাবে কথা বলবে। আবার জিৎ-এর চরিত্রটা এক্কেবারেই বিপরীত। জিৎ-এর চরিত্র একেবারেই চুপচাপ, খুব একটা কথা না বলা অন্তর্মুখী চরিত্র। একই ছবিতে দুধরনের চরিত্র নিয়ে কাজ করতে পেরেছি, ভেবেই ভালো লাগছে।
কৌশানিকেও যদি এই একই প্রশ্ন করি, যে মিষ্টি একটা নায়িকা থেকে এক্কেবারে ডাকাবুকো IPS অফিসার হয়ে গেলে। কী বলবে?
কৌশানি- বড়পর্দাতে যে জায়গাগুলো এতদিন করে উঠতে পারিনি, সেগুলো যদি আমাকে করতে দেওয়া হয়, তার সঠিক মর্যাদা তো আমার দেওয়া উচিত, তাই না? এই চরিত্রটার জন্য যখন আমাকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তখনই আমি জানতাম যে এটা আমি পারবো। সেজন্য আমি এধরনের বিভিন্ন চরিত্রগুলি দেখে অনুসরণ করার চেষ্টা করেছি, শেখার চেষ্টা করেছি। এবার দর্শকরা কী বলবে, সেটার জন্য ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত আমাকে অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
ব্য়ক্তিগতভাবে তোমার কোনটা পছন্দ, রোম্যান্টিক নায়িকা, নাকি এধরনের একটু অন্য টাইপের চরিত্র?
কৌশানি- একেবারই অন্যধরনের ছবি। দেখো, রোম্যান্টিক দৃশ্য 'ইজ অ্যা পার্ট অফ ইমোশন'। তবে একটু অন্যধরনের চরিত্র করলে সেখানে করার অনেক কিছুই থাকে। শুধু ওই দাঁড়িয়ে গান গাওয়া, আর নাচার থেকে অনেক ভালো। সিনেমায় শুধুই প্রপের মতো ব্যবহার না হয়ে যদি একটু অন্যধরনের কিছু করা যায় সেটা তো একটা বড় পাওনা।
আচ্ছা বনি, পরিচালক বাবা আর অভিনেতা ছেলের জুটি পেতে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এতটা সময় লেগে গেল?
বনি- আসলে একটা ভালো প্রোডাকশন হাউস ও চিত্রনাট্যের জন্য অপেক্ষা করে ছিলাম। আর পাপা (বাবা অনুপ সেনগুপ্তকে বনি এভাবেই ডাকেন) বলেছিল, আমি প্রথমেই তোকে নিয়ে কাজ করব না। কারণ সবাই বলবে, যেহেতু বাবা পরিচালক, তাই ছেলেকে নায়ক বানিয়ে দিল। তো সেটা একটা দাগ লেগে যায়। তো পাপা বলেন, তুই আগে অভিনেতা হিসাবে পরিচিতি তৈরি কর, তারপর তোকে নিয়ে কাজ করব। তাই-ই কিছুটা অপেক্ষা করে যাওয়া। এখন বাবারও হয়ত মনে হয়েছে এই চরিত্রটা আমি ঠিকঠাক তুলে ধরতে পারবো, তাই আমায় বেছেছেন। বলে না, যা কিছু হয়, ভালোর জন্যই হয়। (হাসি) এখন গিয়ে সবকিছু মিলে গেল, তাই বাবার সঙ্গে কাজটাও করা হয়ে গেল।
পরিচালক অনুপ সেনগুপ্ত নাকি বাবা, সিনেমার সেটে কোন সম্পর্কটা বেশি করে অনুভব করছিলে?
বনি- পরিচালক অনুপ সেনগুপ্ত। সেটে যখন থাকতাম, তখন পাপা একেবারেই অন্য একজন মানুষ। সেটা যে শুধুই আমার জন্য, এমনটা নয়। পাপার ছবিতে যখন মাও অভিনয় করেছেন, তখনও তিনি অন্য একজন মানুষ। সেটে পাপা মাকে প্রিয়াদি (প্রিয়া সেনগুপ্ত) বলে ডাকতেন (হাসি)। বলতেন প্রিয়াদি আপনার শট রেডি। এমনকি কৌশানিকেও একদিন বলেছেন (কৌশানিক দিকে তাকিয়ে) যে, কৌশানিদি আপনার শট রেডি আছে। আসলে পাপা এইরকমই। যখন উনি কাজে থাকেন, তখন উনি কার সঙ্গে কী সম্পর্ক সেটা দেখেন না। এর আগে যখন বাবার ছবিতে সহ পরিচালক হিসাবে কাজ করেছি, তখন এতটাও বুঝি নি। তখন উনি আমায় শুধুই নির্দেশ দিয়েছেন, এটা করে দে, ওটা করে দে। তবে আজ যখন ওনার পরিচালনায় কাজ করছি, তখন বুঝতে পারছি উনি পরিচালক হিসাবে একেবারেই অন্য মানুষ।
কৌশানি, হবু শ্বশুরমশাই অনুপ সেনগুপ্তের পরিচালনায় কাজ করে তোমার অভিজ্ঞতা কেমন?
কৌশানি- হ্যাঁ, ব্যক্তিগতভাবে ওনায় চিনতাম, কিন্তু একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা এক্কেবারেই প্রথম। অনুপ অ্যাঙ্কেলকে এক্কেবারেই অন্যভাবে দেখলাম। যেটা আমি সাধারণত করে থাকি, বাচ্চাদের মত আবদার করা, এটা, ওটা, সেটা করা। আমি এই ছবির শ্যুটিংয়ের সময় এক্কেবারেই তা করিনি। পেশাদারির ক্ষেত্রে উনি কিন্তু ভীষণ আধুনিক। যেটা অনেকে বলছিলেন আমায়, উনি তো পুরনো দিনের পরিচালক, ওনার কাজ করার ধরণটা হয়ত অন্যরকম, সেটাতে হয়ত সমস্যা হতে পারে। কাজ করতে গিয়ে যেটা দেখলাম, যা শুনেছিলাম, সেটা এক্কেবারেই নয়। তবে শ্যুটিং সেটে উনি ভীষণই কঠিন একজন মানুষ। ঠিক যেমন স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল হন, তেমন। সিনেমার সেটে আমরা হলাম স্কুলের বাচ্চা। কথা না শুনলে বকুনি খাও, আর কথা শুনলে তুমি A+নিয়ে পাশ করে গেলে। এই আর কি।
তোমাকে কি বকুনি খেতে হয়েছে নাকি?
কৌশানি- আমিপড়াশোনায় ভীষণই ভালো ছাত্রী ছিলাম, তো স্কুলের সবাই আমায় খুব ভালোবাসত। আর সেখানে অ্যাঙ্কেল প্রিন্সিপ্যাল সেখানে তো বকুনি খাওয়ার জায়গাটাই থাকে না। (হাসি)
শুনেছি, কয়লাখনি এলাকায় শ্য়ুটিং হয়েছে, তো সেখানে কাজ করতে গিয়ে কোনও সমস্যায় পড়তে হয়েছে কি?
কৌশানি- সমস্যা তো হয়েছেই। এক তো রাঁচির যে জায়গায় শ্যুটিং করেছি, সেখানেই প্রায়ই অপরাধমূলক কাজকর্ম চলে। তারমধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে শ্যুটিং করেছি, পুলিসি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। তবুও তো কিছুটা ঝুঁকি থেকেই যায়। এক তো কয়লাখনিতে ১৮০ ফুট নিচে নেমে শ্যুটিং, তারউপর ৪৩ ডিগ্রি উষ্ণতা। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তার মধ্যেই তাঁরা কাজ করেছেন। সেটাই সকলকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
বনি তোমার অভিজ্ঞতা কেমন?
বনি- ও (কৌশানিকে উদ্দেশ্য করে) তো অনেক পড়ে পৌঁছেছে, আমি রাঁচিতে আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। যেদিন গেছি, সেদিনই আমাদের একজন বলল, আপনারা আজকে যেখানে রয়েছেন, কালকেই এখানে একটা খুন হয়েছে। ওখানে যেন ওটাই স্বাভাবিক। বেশকিছু জায়গায় শ্যুটিং করতে গিয়ে আমাদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তবে আমাদেরই এক পরিচিত ব্যক্তি এক্ষেত্রে অনেকটাই সাহায্য করেছেন। তবে কঠিন যেটা ছিল ৪৩ ডিগ্রি উষ্ণতায় শ্যুটিং করা, তারপর অ্যাকশন দৃশ্যের শ্যুটিং। উফ...। সারাদিনের পর ভীষণই শরীর খারাপ লাগতো। আমার তো মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়ে যেত। তবে কাজটা তো করতেই হবে, তাই না।
শুনেছি, শ্যুটিংয়ের সময় তোমাদের নাকি মৌমাছি ঘিরে ধরেছিল?
বনি- হ্যাঁ (হাসি), আরে বাবা, সে এক কাণ্ড।
কৌশানি- তুমি জানলে কীভাবে?
বনি- (কৌশানিকে থামিয়ে) আসলে আমাদের একটা গানের শ্যুটিং চলছিল রাঁচিতে। ওখানে স্পোর্টস কমপ্লেক্সে যে মৌমাছির চাক আছে সেটা আমরা জানতামই না। আমরা একটু অবশ্য দূরেই ছিলাম। ড্রোন থেকে শট নেওয়া হচ্ছিল। বাকিরা ড্রোনের পিছনে ছিল। ড্রোনের ভয়ঙ্কর আওয়াজেই কাণ্ডটা ঘটেছে আর কি! হঠাৎ দেখছি, চাক ভেঙে মৌমাছি ভর্তি হয়ে গিয়েছে, সবাই পড়িমরি করে দৌড়াচ্ছে। আমরা অবশ্য প্রথমে বুঝিনি, যে কী হয়েছে! তারপর দেখি ওই কাণ্ড (হাসি)। ওখানে অনেকেই মৌমাছির কামড় খেয়েছেন। আমরাই যা বেঁচে গেছি।
আচ্ছা, 'জানবাজ' এমন আর কোনও মজার অভিজ্ঞতা কি রয়েছে যেটা এখনও কেউ জানে না?
কৌশানি- বনিকে কাস্টিং (মজা করে) করাটাাই তো একটা মজার বিষয়।
বনি- না, আমি তো ভালোই কাজ করি, তোমার কাস্টিংটাই মজার। (কৌশানির সঙ্গে সাক্ষাৎকারের মাঝেই খুনসুটি)
কৌশানি- (একটু রেগে গিয়ে) তোমার একটা ছবিও আমাকে ছাড়া চলবে না। (বনির থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিল কৌশানি)
কৌশানি- (এবার সিরিয়াস) শোনো তাহলে আমি একটা কথা বলি। সেটে আমরা একজন ভীষণই এন্টারটেইনিং ডান্স কোরিওগ্রাফার পেয়েছিলাম। (পাশ থেকে বনি, চিল নাম দিয়েছিলাম আমরা তাঁর, কথায় কথায় উড়ে যেতেন) না গো উনি ভীষণই ভালো। তবে আমি যেহেতু একটি বদমাস। এক্কেবারেই সিরিয়াস থাকতে পারি না। তো ওই কোরিওগ্রাফার যখন আমায় শেখাচ্ছেন, কীভাবে কী করতে হবে, সেটা দেখলে যে কেউ হেসে ফেলবেন। আসলে ওনার শেখানোর পদ্ধতিটাই এমন। আর আমি কী করতাম, বারবার বলতাম ঠিক বুঝতে পারছি না, আরেকবার দেখান না। উনি দেখাতেন, আর আমি রেকর্ড করতাম। ওই সবের ভিডিয়োই আমার কাছে আছে, যেখানে উড়তে উড়তে উনি আমায় নাচ শিখিয়েছেন। (হাসি)
বনি- এবার আমি একটা কথা বলি, ওর (কৌশানি) যে সহকারী রয়েছে, সে তো বেদম মার খেয়েছে। ওর ক্রেন শট ছিল না, আমরা প্ল্যান করে ওকে ক্রেন শট দেওয়াই। তাও আবার কোথায়, সেখানে ওকে পাথরের চূড়ার উপর পড়তে হয়েছে।
কৌশানি - এমনকি ডাবিং করতে গিয়ে আঙ্কলের কাছে চড়ও খেয়েছে। ডাবিং চলছে, ও স্টুডিওতে ঢুকে গেছে। আর আঙ্কেল তো গিয়েছিলেন ভীষণ রেগে।
স্টান্টগুলো শুনেছি তোমরা নিজেরাই করেছো?
বনি- হ্যাঁ, আমি তো কখনোই ড্য়ামি নেওয়ার পক্ষপাতীই নই। আমি নিজের স্টান্ট নিজেই করতে ভালোবাসি। একটা বাংলাদেশের সিনেমা করেছিলাম, উফ ওখানে যা যা করতে হয়েছিল, উফ...
কৌশানি- আর আমি তো মারপিট করতে এমনই ভালোবাসি। আর সুযোগ যখন পেয়েছি, সেটা তো ছাড়বই না। (হাসি)
বাবার ছবিতে কৌশানির সঙ্গে রোম্যান্স করতে কোনও অস্বস্তি হয়নি?
বনি- না, একেবারেই নয়। বরং বাবাই এই বিষয়ে আমাদের পাশে ছিল। এমনকি কৌশানির যখন ইন্ট্রোডাকশন শট ছিল, সেখানে ও যখন পাপাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো, স্কার্ট পড়বে কিনা? পাপাই ওকে পড়তে বলেছিল। আর পাপা এতটাই পেশাদার, যে কোনও সমস্যাই হয়নি। খালি যখন দেখতো, শট শেষ হয়ে গেছে, তারপরও রোম্যান্স করছি, তখন বলতো What is going on? বেশ ওই টুকুই।
এটা ছাড়া তোমাদের এই জুটিকে আর কোন ছবিতে দেখতে পাবো?
বনি- সুরিন্দর ফিল্মসের একটা ছবি আসছে, যেটা আগামী বছর প্রথমের দিকেই মুক্তি পাবে। সুজিত মণ্ডলের পরিচালনায়, নামটা এখনও ফাইনাল হয়নি।
বনি-কৌশানি জুটি ছাড়া কি তোমাদের একে অপরের বিপরীতে অন্য কোনও নায়ক -নায়িকাকে দেখতে পাবো?
বনি- সুরিন্দম ফিল্মসেরই আরেকটা ছবি আসছে, যেটাতে আমি আর ঋত্বিকা আছি। সেটাও হয়ত এবছরই মুক্তি পাবে।
কৌশানি ছাড়া কোন নায়িকার সঙ্গে বেশি স্বচ্ছন্দ?
বনি- (হাসি) আমি তো কাজ করেছি মাত্র তিনজন নায়িকার সঙ্গে। কৌশানি, ঋত্বিকা, রূপসা। ও হ্যাঁ, (একটু ভেবে) বাংলাদেশের মাহির সঙ্গেও কাজ করলাম। তাই কৌশানি ছাড়া স্বচ্ছন্দ যদি বলতে হয়, তাহলে ঋত্বিকা। কারণ, ওর সঙ্গেই তো বেশি কাজ করেছি।
আর কোন নায়িকার সঙ্গে কাজ করতে চাইবে?
বনি- অবশ্যই নতুন কেউ। কারণ এদের সঙ্গে অনেকগুলো হল। এবার (হাসি) একটু বদল দরকার।
কৌশানি তুমি বনি ছাড়া কার সঙ্গে কাজ করতে চাইবে? আর কার সঙ্গে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করবে?
কৌশানি- সবার সঙ্গে। দেব, জিৎদা, অঙ্কুশ এরাঁ। সবার সঙ্গেই আমার খুব ভালো সম্পর্ক। দেবের সঙ্গে একটু খুনসুটির সম্পর্ক, আর জিৎদা অনেকটাই বড়, তাও সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আর অঙ্কুশ তো পুরোই বন্ধু।
আচ্ছা বিয়ের কী প্ল্যান?
বনি- সময় আছে এখনও আমাদের হাতে। (একটু ভেবে, কৌশানির দিকে তাকাতে তাকাতে) সবে তো শুরু করলাম, আমার মনে হয় এখনও দুবছর আছে হাতে, কী কৌশানি?
কৌশানি- হ্যাঁ অবশ্যই। আসলে আমরা দুজনেই কেরিয়ারে মন দিতে চাই। ওরও অনেক কিছু করা বাকি, আমারও। অনেক স্বপ্ন রয়েছে। সেগুলো হয়ে গেলে তারপর। আমরা এখনও কচি (হাসি)।
বনি, তুমি তো বললে অভিনয়ের আগে সহ পরিচালক হিসাবে কাজ করেছ। তো পরিচালনায় আসার কখনও ইচ্ছা হয় নাকি?
বনি- না গো খুব চাপের বিষয়টা। আমি সহ পরিচালক হিসাবে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, দেখেছি বিষয়টা খুব কঠিন। তাই ভয় পেয়ে গেছি। পরিচালককে এত কিছু মাথায় রাখতে হয়, যে ওই চাপটা হয়ত আমি আর নিতে চাইব না। তবে প্রযোজনায় আসার ইচ্ছা আছে।ভবিষ্যতে কোনও একটা ছবির প্রযোজক হব, যেখানে পরিচালক থাকবেন বাবা।
কৌশানি তোমার? (পাশ থেকে মজা করে বনি, আসলে ও রাজনীতিতে আসতে চায়)
কৌশানি - আসলে আমার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে পুরোটাই ভাগ্য। যেমন পড়াশোনা করছিলাম, হঠাৎ করে অভিনয়ে চলে এলাম।
বনি- (পাশ থেকে মজা করে) আসলে ও রাজনীতিতে আসতে চায় (হাসি)।
কৌশানি- হ্যাঁ যদি রাজনীতিতেও যাওয়া ভাগ্য থাকে সেটাই হবে (বনির উপর রেগে)। সেই কোয়ালিটি আমার মধ্যে আছে, এটা বলতে পারি। তবে পরিকল্পনা এখনও কিছু নেই।
বনি- আসলে ও রাজনীতিতে আসলে ছেলেদের খুব টেনশন হয়ে যাবে জানতো। আর এটা ওর সহকারীই সবথেকে ভালো করে জানে। (সহকারীর দিকে তাকিয়ে)
কৌশানি- আমি যেটা ভেবেছি, কেরিয়ারে একটা জায়গায় যাওয়ার পর আমি একটা প্রযোজনা সংস্থা খুলবো। আর সেখানে কোনও ছেলেকে রাখবো না। সেখানে শুধুই মহিলা কেন্দ্রিক ছবি হবে। নায়িকাদের পারিশ্রমিক নায়কদের থেকে বেশি হবে। সেখানে সবসময় মেয়েদের কথাই আগে শোনা হবে।
কৌশানি- আর হ্যাঁ, সব শেষে একটা কথা অবশ্যই বলবো, যেহেতু দীপাবলি আসছে, প্রচুর প্রচুর আনন্দ করো। তবে এই উৎসবটা যেহেতু আলোর, তাই এটাকে আলোতেই সীমাবদ্ধ রাখুন, শব্দ দূষণ এক্কেবারেই নয়। এতে পশু পাখিদের ভীষণ ক্ষতি হয়। তারা যেহেতু কথা বলতে পারে না, তাই তাদের কথাটা অবশ্যই ভাববেন প্লিজ।
বনি- আর অবশ্যই জানবাজ দেখবেন পরিবারের সকলের সঙ্গে, বন্ধুদের সঙ্গে।