শাসকের সাফল্যের পালকেও কলঙ্ক সেই রক্তের দাগ

শেষ হল পঞ্চায়েত নির্বাচন। বিপুল সাফল্য পেল শাসক দল। সেই সাফল্যের পালকে কিন্তু লেগে থাকল রক্তের দাগ। শাসকের সাফল্যকে ছাপিয়ে গেল শাসকের রক্তচোখ।

Updated By: Jul 30, 2013, 07:25 AM IST

শেষ হল পঞ্চায়েত নির্বাচন। বিপুল সাফল্য পেল শাসক দল। সেই সাফল্যের পালকে কিন্তু লেগে থাকল রক্তের দাগ। শাসকের সাফল্যকে ছাপিয়ে গেল শাসকের রক্তচোখ।
পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বিপুল জয়ে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী।
 
হওয়ারই কথা। ২০১১-য়  রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে এবার গ্রামের সরকারের দখল এল তৃণমূলের হাতে। সেটা তো প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু বিপুল সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসার আড়াই বছরের মধ্যে পঞ্চায়েত ভোটে জিততে যে কায়দা নিল তৃণমূল, তা চমকে দিয়েছে বিরোধীদেরও।  
পঞ্চায়েত ভোটের কথা উঠতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি সরব হয়েছিল বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, নাহলে শাসক দলের সন্ত্রাসে ভোট প্রহসনে পরিণত হবে। হলও তাই। সন্ত্রাসের দাপটে  প্রায় ১০% আসনে বিনা লড়াইয়েই জিতে যায় তৃণমূল। ভোটের দিন যত এগিয়েছে ততই বেড়েছে হুমকি-হামলা-সন্ত্রাস। কমিশন-আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলেছে বাইক বাহিনীর দাপট। শাসকের সৌজন্যে রাজ্য সাক্ষী হল হিন্দি বলয়ের বাহুবলী রাজনৈতিক সংস্কৃতির।
বাড়ি জ্বলল বিরোধীদের। বাড়ি জ্বলল শাসকদলের বিক্ষুব্ধদেরও। 
 
রেহাই পেল না শিশুরাও। ভোটের আগে, ভোটের দিন, ভোটের পরে, অবাধে চলল বোমাবাজি, গুলি। খুন হলেন পঞ্চাশেরও বেশি মানুষ।   
নির্বিবাদে ভোট করতে বসিয়ে রাখা হল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। চলল বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট। নির্বিঘ্নে। 
আক্রান্ত হলেন বিধায়করাও। ভোট দিতে পারলেন না সাংসদও। চলল ব্যালট লুঠ, ভোটারদের বুথে যেতে না দেওয়া।  
 

.