এবার তল্লাসি চলল বালি পুরসভার আরও এক আধিকারিকের বাড়িতে
হাওড়ার প্রণব অধিকারির বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের পর এবার তল্লাসি চলল বালি পুরসভার আরও এক আধিকারিকের বাড়িতে। বাসুদেব দাস নামে ওই আধিকারিক বালি পুরসভার সাব অ্যাসিট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। রাতে তাঁর বাড়িতে তল্লাসি চালাতে যান দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারেরা।
ওয়েব ডেস্ক: হাওড়ার প্রণব অধিকারির বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের পর এবার তল্লাসি চলল বালি পুরসভার আরও এক আধিকারিকের বাড়িতে। বাসুদেব দাস নামে ওই আধিকারিক বালি পুরসভার সাব অ্যাসিট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। রাতে তাঁর বাড়িতে তল্লাসি চালাতে যান দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারেরা।
বেলুড়ের বিধানপল্লি এলাকার ওই বাড়িটিতে রাতভর তল্লাসি করা হয়। প্রণব অধিকারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু নাম উঠে আসে। যার মধ্য বাসুদেব দাসেরও নাম পাওয়া গিয়েছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে।
হাওড়ার টাকা উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর মোড়। নাম জড়াল বালি পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান অরুনাভ লাহিড়ির।এলাকার এক প্রমোটারের অভিযোগ, প্ল্যান পাশ করাতে প্রণবকে ঘুষ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন অরুনাভ লাহিড়ি। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
টাকা কার? শুধুই প্রণবের? নাকি ঘুষ চক্র? ২০ কোটি ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার। প্রণব অধিকারীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল কালো টাকার মালিক কে? আপাতত এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন তদন্তকারীদের সামনে।
১৯৯৫ থেকে বালি পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের সাব অ্যাসিস্টান্ট ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্বে প্রণব অধিকারী । তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে তাঁর একচেটিয়া দুর্নীতির ছবিটা। গত ২০ বছরে লিলুয়ায় একাধিক কারখানা ও জলাজমি ভরাট করে মাথা তুলেছে বহুতল। পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী স্কোয়ার ফুট পিছু ৩৫ টাকা করে কর দেওয়ার কথা। প্রণব অধিকারী স্কোয়ার ফুট পিছু ১০০-১৫০ টাকা করে নিতেন। প্রোমোটারকে আশ্বাস দিতেন বিল্ডিং তৈরির পর টাকা দিলেই চলবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল বিল্ডিং মিউনিসিপ্যালিটি রুলও মানা হত না বহু ক্ষেত্রেই।
কিন্তু, কুড়ি বছর এমন কুকীর্তি তিনি চালিয়ে গেলেন কী করে? তবে কী মাথায় ছিল বড়ো কারও হাত? প্রশ্নটা উস্কে দিয়েছেন এলাকারই এক প্রোমোটার। বিদায়ী চেয়ারম্যানকে কাঠগড়ায় তুলছেন বিরোধীরাও। যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন বিদায়ী চেয়ারম্যান। তাঁর দাবি, গোটাটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত।
অরুনাভ লাহিড়িকে জেরা করতে চলতে দুর্নীতি দমন শাখা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছেই, প্রণব অধিকারী কি হিমশৈলের চূড়া মাত্র? এই বিপুল কালো টাকা কি একা প্রণবের? নাকি বড় কোনও চক্রের প্রণব একটা অংশমাত্র? চক্রের দু নম্বরি টাকাই কি গচ্ছিত থাকত প্রণবের কাছে? একি শুধু ঘুষের টাকা? নাকি অন্য কিছুও? প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রণবকে জেরা করে তারই উত্তর খুঁজছে পুলিস।