বঞ্চনার অভিযোগে পথে সাঁওতালি সংগঠনরা
সাঁওতালি মাধ্যমের স্কুলগুলিকে বঞ্চিত করছে রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ তুলে এবার পথে নামতে চলেছে বাঁকুড়ার সাঁওতাল ভাষাভাষী ২১টি সংগঠন। এক যোগে আজ বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় প্রতীকী পথ অবরোধ ডাক দিয়েছে তারা। ২৪ জানুয়ারি অর্থাত্ বৃহস্পতিবার জেলাজুড়ে পথ অবরোধের সামিল হচ্ছে ওই ২১টি সংগঠন।
সাঁওতালি মাধ্যমের স্কুলগুলিকে বঞ্চিত করছে রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ তুলে এবার পথে নামতে চলেছে বাঁকুড়ার সাঁওতাল ভাষাভাষী ২১টি সংগঠন। এক যোগে আজ বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় প্রতীকী পথ অবরোধ ডাক দিয়েছে তারা। ২৪ জানুয়ারি অর্থাত্ বৃহস্পতিবার জেলাজুড়ে পথ অবরোধের সামিল হচ্ছে ওই ২১টি সংগঠন।
লাগাতার আন্দোলনের জেরে ২০০৩ সালে সাঁওতালি ভাষা সংবিধানের অষ্টম তফসিলে অন্তর্ভূক্ত হয়। ২০০৮ সালে জঙ্গলমহলের বেশ কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলে সাঁওতালি মাধ্যমে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করে তত্কালীন বামফ্রন্ট সরকার। প্রাথমিক স্তর পেরিয়ে গত বছর পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হয় প্রথম ব্যাচ। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে হাইস্কুলগুলিতে পরিকাঠামো না তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনে নামে বাঁকুড়ার আদিবাসী সংগঠনগুলি। শেষ পর্যন্ত বাঁকু়ড়ার ১৪টি হাইস্কুলে সাঁওতালি মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করা হয়। কিন্তু এ বছর পর্যন্ত ওই স্কুলগুলিতে সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। এমনকী ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তকও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ব্যবস্থা হয়নি সাঁওতালি মাধ্যমে পড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য হোস্টেলেরও।
আন্দোলনে সামিল সংগঠনগুলির অভিযোগ, রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতরের ঔদাসীন্যের জন্যই হাজার হাজার সাঁওতালি মাধ্যমের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাঁওতালি শিক্ষার অধিকার মঞ্চ গড়ে আন্দোলন নামতে চলেছে সংগঠনগুলি।