কীর্ণাহারের পোস্টার তুলছে প্রশ্ন, কবে থেকে সক্রিয় হয়েছে মৌলবাদীরা?
![কীর্ণাহারের পোস্টার তুলছে প্রশ্ন, কবে থেকে সক্রিয় হয়েছে মৌলবাদীরা? কীর্ণাহারের পোস্টার তুলছে প্রশ্ন, কবে থেকে সক্রিয় হয়েছে মৌলবাদীরা?](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2014/10/17/30093-kirnaposter.jpg)
বছর দুয়েক আগের ঘটনা। কীর্ণাহার ব্যবসায়ী সমিতি একটি যাত্রার আসর বসিয়েছিল। আর সেই যাত্রার পোস্টারেই নায়িকার ছবির ওপর কাগজ সেঁটে দেওয়া হয়। সেই মামুলি ঘটনাই এখন ভাবিয়ে তুলেছে তদন্তকারীদের। ওই সময় থেকেই কি কীর্ণাহারের এই অখ্যাত গ্রামে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল মৌলবাদীরা? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কীর্ণাহারের নিমড়ে গ্রামে ২৪ ঘণ্টা।
কীর্ণাহারের নিমড়ে গ্রাম। এখানেই বাড়ি পলাতক সন্দেহভাজন কদর শেখের। কবে শেষ দেখা গিয়েছিল ওকে? গ্রামের অন্য লোকজনও ওর সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না। কদর শেখের বাড়ি থেকেই পোড়া কাগজপত্র আর একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে। অথচ সেই বাড়িই আজ কার্যত অরক্ষিত পড়ে রয়েছে। শুধু কদর শেখ না। তার বোন এবং ভগ্নিপতিও বেপাত্তা। কোথায় গেছে তারা? উত্তর নেই বাড়ি আগলে বসে থাকা কদরের মায়ের কাছে। কিন্তু, কে এই কদর শেখ? জানা গিয়েছে কট্টর মৌলবাদী আল হাদিশ গোষ্ঠী এই গ্রামে শক্তিশালী হয়ে ওঠে কদরের হাত ধরেই। অন্য গোষ্ঠীর সঙ্গে একাধিকবার ঝামেলাও হয়েছে। আর তার জেরেই বছর দুয়েক আগে কীর্ণাহার ব্যবসায়ী সমিতির যাত্রার পোস্টারের নায়িকার ওপর কাগজ সেঁটে দেওয়া হয়। যদিও, গ্রামের লোকজন এনিয়ে তেমনভাবে মুখ খুলতে নারাজ।
সামাজিক কাজকর্মেও ক্রমশ দখলদারি শুরু করে কদরের দলবল। মোবাইলের রিংটোনে বন্ধ হয় গান। সরকারি প্রাইমারি স্কুল থাকা সত্ত্বেও পড়ুয়াদের অধিকাংশকেই পাঠানো হতো গ্রামের বাইরে বেসরকারি মাদ্রাসায়। এমনকি গ্রামে বন্ধ হয় সিনেমা, যাত্রাও। জেলা পুলিসের গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে গত দু'বছরে এই গ্রাম থেকে বহু মানুষ আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট করিয়েছেন। এখনও বহু বাড়ি ফাঁকা। নিমড়ের কাছেই কাজিপাড়া থেকে কাজি ফয়জুল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে NIA। নিমড়ে গ্রামকে কি অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তুলতে শুরু করেছিল কদর শেখরা?