চোখ রাঙাচ্ছে নদী, ভেসে যেতে পারে ঘরবাড়ি, আতঙ্কে ফের রাত জাগছে জঙ্গলমহল
মাওবাদীরা যখন সক্রিয় ছিল, তখন রাত জাগতেন জঙ্গলমহলের বেশিরভাগ গ্রামের মানুষ। আজ ফের রাত্রি জাগরণ। এবারও প্রাণের দায়ে। কারণ যেকোনও মুহূর্তে গোটা গ্রাম চলে যেতে পারে নদীগর্ভে। আতঙ্কে লালগড়ের ধেড়ুয়া এক নম্বর ব্লকের নদীপাড়ের গ্রামবাসীরা।

ওয়েব ডেস্ক: মাওবাদীরা যখন সক্রিয় ছিল, তখন রাত জাগতেন জঙ্গলমহলের বেশিরভাগ গ্রামের মানুষ। আজ ফের রাত্রি জাগরণ। এবারও প্রাণের দায়ে। কারণ যেকোনও মুহূর্তে গোটা গ্রাম চলে যেতে পারে নদীগর্ভে। আতঙ্কে লালগড়ের ধেড়ুয়া এক নম্বর ব্লকের নদীপাড়ের গ্রামবাসীরা।
অতি বৃষ্টিতে ফুঁসছে নদী। গ্রামের চেনা নদীটাই এখন দিনরাত যেন চোখ রাঙাচ্ছে। প্রতিমুহূর্তে আতঙ্ক এই বুঝি গ্রাস করল ঘরবাড়ি। লালগড় এক নম্বর অঞ্চলের প্রায় তিরিশটি পরিবার এখন চোখের পাতা এক করতে পারছে না। কারণ ওরা যে দেখেছে, একসময় যেখানে ছিল ওদের ঘর গেরস্থালি, আজ সেখানেই প্রবল বেগে ধেয়ে চসেছে নদী। চাষের জমিও গিয়েছে নদীর গ্রাসে। নদীকে বাঁধতে কি কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি? গ্রামবাসীরা বলছেন শালবল্লা দিয়ে গার্ডওয়াল তৈরি করা হলেও ভরা বর্ষার নদী সেটা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে। প্রশাসনকে বহুবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। বড় কোনও দুর্ঘটনার অপেক্ষায় আছে প্রশাসন? প্রশ্ন গ্রামবাসীদের।