এভাবেও ফিরে আসা যায়...
দল ছাড়ার পর ফের ঘরে ফেরার কাহিনী সিপিআইএমে নতুন নয়। পলিটবুরোর নৃপেন চক্রবর্তীই হোন বা এরাজ্যের নেতা নেপালদেব, বহিষ্কারের পর ফের সাড়ম্বরে সিপিএমে জায়গা পেয়েছেন দুজনেই। কেরলের বর্ষীয়ান নেতা গৌরী আম্মাকেও সম্প্রতি একুশ বছর পর দলে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে সিপিএম।

ব্যুরো: দল ছাড়ার পর ফের ঘরে ফেরার কাহিনী সিপিআইএমে নতুন নয়। পলিটবুরোর নৃপেন চক্রবর্তীই হোন বা এরাজ্যের নেতা নেপালদেব, বহিষ্কারের পর ফের সাড়ম্বরে সিপিএমে জায়গা পেয়েছেন দুজনেই। কেরলের বর্ষীয়ান নেতা গৌরী আম্মাকেও সম্প্রতি একুশ বছর পর দলে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে সিপিএম।
এও এক ঘর বাপসি। দল বিরোধী কাজে সিপিএম থেকে বহিষ্কারের পর ফের দলে ফেরা। তালিকায় নতুনতম সংযোজন কেরলের গৌরী আম্মা।
১৯৫৭ কেরলে ইএমএস নাম্বুদ্রিপাদের নেতৃত্বে তৈরি দেশের প্রথম কমিউনিস্ট-সরকারের মন্ত্রী তিনি। পরে ১৯৯৪ সালে নয়নার, অচ্যুতানন্দনদের সঙ্গে চূড়ান্ত সংঘাতের জেরে দল থেকে বহিষ্কার হন। ২০০১ সালে নতুন পার্টি জেএসএস নামে নতুন দল গড়েন। ভোটে জিতে ইউডিএফের মন্ত্রীও হন গৌরী আম্মা। অবশেষে ২১ বছর রাজনীতির ময়দানে দলের বিরোধিতা করে আসা বর্ষীয়ান সেই নেত্রীকেই দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম।
গৌরী আম্মার আগে সিপিএমের সবচেয়ে আলোচিত ঘরবাপসি নিঃসন্দেহে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তীর। পার্বত্য রাজ্যে সিপিএমের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এই নেতা নয়ের দশকে প্রকাশ্যেই নিশানা করেছিলেন জ্যোতি বসুর মতো প্রথম সারির নেতাদের। পলিটব্যুরোর এই সদস্যর বিরুদ্ধে বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলানোরও অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের অন্দরে। ফল হিসেবে ১৯৯৫ সালে নৃপেন চক্রবর্তীকে বহিষ্কার করে সিপিএম। ২০০৪ মৃত্যুর কিছু দিন আগে অশীতিপর ওই নেতাকে ফের দলের সদস্য হিসেবে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কারের পর আবার দলে ফিরে দাপটের সঙ্গে সংগঠন করার উদাহরণ কিন্তু এরাজ্যেই রয়েছে। তিনি সিপিএমের নেপাল দেব ভট্টাচার্য। রাজ্য কমিটির সদস্য উত্তর চব্বিশপরগনার জনপ্রিয় নেতা নেপাল দেবকে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে ১৯৯৭ সালে বহিষ্কার করা হয়। এগরো বছর পর ২০০৮ সালে ফের দলে ফেরেন তিনি। একসময়ের এই বহিষ্কৃত নেতার কাঁধেই এখন বকলমে উত্তর চব্বিশপরগনার জেলার সাংগঠনিক দায়িত্ব।