লোকশিল্পীদের উন্নয়নে রয়েছে প্রতিশ্রুতি, এখনও ভিক্ষা করেই দিন কাটে দেবীদাস বাউলের

রাজ্যের লোকশিল্পীদের জন্য নানান উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু পুরুলিয়ার দেবীদাস বাউলের এখনও দিন গুজরান হয় কার্যত ভিক্ষাবৃত্তি করেই। মেলেনি সরকারি স্বীকৃতি। এমনকী, বহু দরবার করেও সামান্য পরিচয়পত্রও পাননি এই বৃদ্ধ শিল্পী। চরম অসহায়তার মধ্যে দিন কাটছে তাঁর।
দেবীদাস বাউল। বয়স বাহাত্তর বছর। ঠিকানা-পুরুলিয়ার দু নম্বর ব্লকের ডাঙ্গরা গ্রামের বাউল আখড়া। একসময় তাঁর লেখা ও সুরে গান বাংলার বহু বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পীর গলায় শোনা যেত। কিন্তু এতকিছুর পরেও জোটেনি সামান্য স্বীকৃতিটুকুও। ব্রাত্যই থেকে গিয়েছেন এই বৃদ্ধ সঙ্গীতশিল্পী। কয়েকবছর আগে দুর্ঘটনায় একটি পা হারিয়েছেন। এই অবস্থায় সহায়সম্বলহীন এই মানুষটির দিন গুজরান হচ্ছে কার্যত ভিক্ষাবৃত্তি করেই।
লিখেছেন কয়েক হাজার গান। একটু একটু করে পয়সা জমিয়ে একটি বইও প্রকাশ করেছেন। এখনও বহু গান অপ্রকাশিত। এই অবস্থায় ন্যুনতম স্বীকৃতির আশায় এই বৃদ্ধ সঙ্গীতশিল্পী।