মঙ্গলবারের পর বুধবারও হয়ে রইল অধীরের দিন, রাজ করলেন সংখ্যালঘু কনভেনশনেও

অধীর চৌধুরী এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত হল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের কনভেনশন। ফের তুড়ি মেরে ওড়ালেন মুখ্যমন্ত্রীর হুমকি। মঙ্গলবারের পর বুধবারের দিনটাও হয়ে থাকল অধীরেরই।
কাল বুক চাপড়ানোর ছবি। এ ছবিটা কংগ্রেস কর্মীদের কাছে এখন কতটা প্রিয়? উত্তর দিল বুধবারের নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম। সংখ্যালঘু সেলের কনভেনশন। মঞ্চে তাবড় তাবড় নেতাদের ভিড়। মণিশঙ্কর আইয়ার থেকে রাজ বব্বর। শাকিল আহমেদ থেকে সোমেন মিত্র। বেলা আড়াইয়ে নাগাদ এলেন অধীর চৌধুরী। তাঁকে দেখেই উত্তাল হল গোটা স্টেডিয়াম। মাইকে ঘোষণা করে থামাতে হল স্লোগান। অধীর বক্তব্য রাখলেন ঠিক দশ মিনিট। তবে তাতে বন্ধ, রাজ্য রাজনীতি নিয়ে একটিও শব্দ নেই। মঞ্চের নেতাদের হাই, হ্যালো করে সোজা ছুট। মঞ্চের নিচে সাংবাদিকদের মুখোমুখি। সেখানেও বাপি বাড়ি যা।
এ যেন এক অন্য অধীর। মুখ্যমন্ত্রী কেন অধীর চৌধুরীকে ছবি করে দেওয়ার কথা বললেন, প্রতিবাদে বাইরে তখন যুব কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভ। ইন্ডোর থেকে বেরিয়ে সোজা এয়ারপোর্ট। কিন্তু কনভেনশনের আনাচে-কানাচে শুধুই অধীর-চর্চা। নেতারাও জোরালো প্রতিবাদ জানালেন। আর কংগ্রেস কর্মীরা তো পারলে এখনই নেমে পড়েন ময়দানে। মঙ্গলবারের পর বুধবারের দিনটাও হয়ে থাকল অধীরেরই।