HMPV in Bangladesh: বাংলাদেশে হানা দিল HMPV, সংক্রমণ ঠেকাতে বিমানবন্দরগুলিকে কড়া নির্দেশিকা

HMPV in Bangladesh: এইচএমপিভি আক্রান্তের বিদেশ ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই। আপাতত তিনি ভালো আছেন

Updated By: Jan 13, 2025, 09:00 PM IST
HMPV in Bangladesh: বাংলাদেশে হানা দিল HMPV, সংক্রমণ ঠেকাতে বিমানবন্দরগুলিকে কড়া নির্দেশিকা

সেলিম রেজা | ঢাকা:  চিন-সহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) এবার বাংলাদেশে। এই অবস্থায় ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন-বীরভূমের রাজনীতিতে উলটপুরাণ, প্রকাশ্য মঞ্চে অনুব্রতর সামনে এ কী করলেন কাজল!

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম বাংলাদেশের সব এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিশেষ ওই নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সবাইকে এইচএমপিভির বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে আপাতত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু হয়নি। বিমানবন্দরের যাত্রী, স্টাফ ও দর্শনার্থীদের সবাইকে মুখে মাস্ক রাখা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে। যদি কারো মধ্যে জ্বর, কফ, শ্বাসকষ্ট হওয়ার মতো এইচএমপিভির লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।

বাংলাদেশের বিমানবন্দরে দেশি ও বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এবং যেসব দেশে এইচএমপিভির আক্রান্ত রোগী রয়েছে সেসব দেশ থেকে যাত্রী আনার ক্ষেত্রেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বিমানের ভেতর যদি কারো মধ্যে জ্বর, কফের মতো এইচএমপিভির লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।

ফ্লাইটে এইচএমপিভির আক্রান্ত রোগী থাকলে তাদের কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে সে বিষয়ে এয়ারলাইন্সের ক্রু ও যাত্রীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী জানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চিঠিতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা ৭টি নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সূত্র জি ২৪ ঘন্টার বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে জানায়, বাংলাদেশে এইচএমপিভি আক্রান্ত ব্যক্তি একজন মহিলা, যাঁর গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায়।

চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে পূর্ব এশিয়ার দেশ চিনে প্রথম এর সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর জাপানে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এখন এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ও ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এইচএমপিভি ২০০১ সাল থেকেই বাংলাদেশে আছে। এমনকি এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়েছে। যে কারণে করোনাভাইরাসের মতো এই ভাইরাস নিয়ে এত ভয়ের কিছু নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, ২০০১ সালে বিশ্বে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়ত আরো অনেক যুগ আগে থেকেই এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে। কেউ কেউ বলছেন, ১৯৫৮ সাল থেকেই রোগটা আছে বলেও যোগসূত্র পাওয়া যায়।

সিডিসি বলছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে কারও ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মত অসুখ হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এটি শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল তাদের মধ্যেই বেশি দেখা গেছে।
 
এদিকে বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জি ২৪ ঘন্টার বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে জানান, আমরা একজন মহিলার দেহে এইচএমপিভি সংক্রমণের একটা রিপোর্ট পেয়েছি। তিনি এইচএমপিভিতে আক্রান্তের পাশাপাশি ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত। তিনি ঢাকার সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা যতটুকু জেনেছি আগের চেয়ে খানিকটা ভালো।

তিনি বলেন, তিনি বাংলাদেশেই আক্রান্ত হয়েছেন, কারণ তার কোনো বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। এটা খুবই স্বাভাবিক। হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই আছে। সুতরাং এটা নিয়ে নতুন করে আতঙ্কের কিছু নেই।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.