চিনা আগ্রাসন রুখতে ইন্দোনেশিয়াকে পাশে চায় ভারত
সফরের দ্বিতীয় দিনে নরেন্দ্র মোদীকে অভ্যর্থনা জানানো হয় জাকার্তার প্রেসিডেন্ট ভবন ‘মার্দেকা প্যালেসে’। সেখানে মোদীকে গার্ড অব অনর-ও দেওয়া হয়
![চিনা আগ্রাসন রুখতে ইন্দোনেশিয়াকে পাশে চায় ভারত চিনা আগ্রাসন রুখতে ইন্দোনেশিয়াকে পাশে চায় ভারত](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/05/30/122363-narendramodi1.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইন্দোনেশিয়ার মাটিতে আবেগঘন অভ্যর্থনা পেয়ে সে দেশের প্রবাসী ভারতীয়দের টুইটে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ত্রিদেশীয় সফরে মঙ্গলবার প্রথমে ইন্দোনেশিয়া পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশন (এএসইএএন)-এর অংশ হিসাবে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। মোদীর পাঁচ দিনের এই সফরে এই তিন দেশের সঙ্গে ভারতের পারস্পরিক বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- নিখোঁজ শিশুরা কোথায়? মা-ইভাঙ্কাকে প্রশ্ন নেটিজেন মহল্লার
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা উঠে আসতে পারে। বিশেষ করে প্রশান্ত মহাসাগরে চিনা আগ্রাসন রুখতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো-র সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন নমো।
আরও পড়ুন- একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ইতালির প্রেসিডেন্টের
সফরের দ্বিতীয় দিনে নরেন্দ্র মোদীকে অভ্যর্থনা জানানো হয় জাকার্তার প্রেসিডেন্ট ভবন ‘মার্দেকা প্যালেসে’। সেখানে মোদীকে গার্ড অব অনর-ও দেওয়া হয়। এরপর ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট উইডোডো-র সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। ইন্দোনিশায় নিযুক্ত ভারতীয় দূত প্রদীপ কুমার রাওয়াত জানিয়েছেন, সংস্কৃতি, কৃষ্টি এমনকী গণতন্ত্রের সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে দুই দেশের। পারস্পরিক সম্পর্ককে মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে নরেন্দ্র মোদীর এই প্রথম ইন্দোনেশিয়া সফর। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে চাইছে দুই দেশই। এএসইএএন-এর অন্তর্ভূক্ত দেশগুলির মধ্যে ইন্দোনেশিয়া সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সহযোগী ভারতের। ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতিতে ১৫০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ঝড়ে গাছ পড়ে মৃত্যু দক্ষিণ ক্যারোলিনার দুই সাংবাদিকের
প্রসঙ্গত, বিশ্বের বৃহত্তর গণতান্ত্রিক দেশুগুলির মধ্যে অন্যতম ভারত এবং ইন্দোনেশিয়া। জি-২০, ই-সেভেন, নন অ্যালাইনড মুভমেন্ট এবং রাষ্ট্রসংঘের সদস্য হিসাবে অন্তর্ভূক্ত দু’দেশই।