মৃত্যুকে জয় করে বিশ্বের বিস্ময় প্রথম 'বায়োনিক মহিলা'
এভাবেও ফিরে আসা যায়! কোনও হলিউড সিনেমার কাল্পিনক গল্প নয়, জীবনের অন্ধকার গহ্বর থেকে তিলে তিলে বাস্তবকে জয় করে আজ তিনি সবচেয়ে 'দামী মহিলা'। ২০০৭ ইরাকে এক বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন ৩০ বছর বয়সী হানা কেম্পবেল। বাসরা শহরে একটি বিল্ডিংয়ে গার্ড দিচ্ছিলেন।
![মৃত্যুকে জয় করে বিশ্বের বিস্ময় প্রথম 'বায়োনিক মহিলা' মৃত্যুকে জয় করে বিশ্বের বিস্ময় প্রথম 'বায়োনিক মহিলা'](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2014/08/25/28474-lady.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: এভাবেও ফিরে আসা যায়! কোনও হলিউড সিনেমার কাল্পিনক গল্প নয়, জীবনের অন্ধকার গহ্বর থেকে তিলে তিলে বাস্তবকে জয় করে আজ তিনি সবচেয়ে 'দামী মহিলা'। ২০০৭ ইরাকে এক বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন ৩০ বছর বয়সী হানা কেম্পবেল। বাসরা শহরে একটি বিল্ডিংয়ে গার্ড দিচ্ছিলেন।
বিস্ফোরণের পর তাঁর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। দু টুকরো হয়ে যায় বাঁহাত এবং বাঁ পা সম্পূর্ণরূপে বাদ যায়। এখনও শেষ হয়নি। নষ্ট হয় যকৃত, গর্ভাশয়। অবশেষে হার্ট অ্যাটাক। জীবনের শেষ পর্যায় দাঁড়িয়ে প্রহর গুনছে মৃত্যুর কাঁটা। কিন্তু কেম্পবেল হাঁটা দিল উল্টোদিকে। প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও ধৈর্য্যের হাত ধরে ফিরে আসেন নরকযন্ত্রণা থেকে। তিনি জানান, 'ডাক্তারের আন্তরিক সেবায় আমি নতুনভাবে জীবন ফিরে পাই'। তিনি শরীরে প্রায় সবকিছু পাল্টে ফেলেন। বিপুল ব্যয় করে তিনি হন সত্যিকারের 'বায়োনিক মহিলা'।
শরীরে গভীর ক্ষতস্থান পূরণ করতে ও নিজেকে আরও সুন্দর করে তুলতে তিনি খরচা করেন ৫২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে একত্রিশ লক্ষ টাকা। সবচেয়ে আশ্চর্য্য বিষয়, তিনি একটি প্রোসথেটিক পা লাগান। ত্বকের ক্ষতস্থানে বোটোক্স করেন। নানানরকম শরীরি নকশায় সুন্দর করে তোলেন নিজের জীবনকে। তিনি শুধু শরীরে ক্ষতস্থানেই চিকিত্সা করেননি, স্তনকে আরও বৃদ্ধি করান। ক্ষতিগ্রস্থ গর্ভাশয়ে সারিয়ে আজ তিনি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
সত্যি হানা কেম্পবেল এখন বিশ্বের কাছে 'রিয়েল বায়োনিক মানুষ'। তাঁর বাস্তব জীবনকাহিনী আমাদের অনেক হেরে যাওয়া জীবনকে অনুপ্রাণিত করবে, এমনই মনে করেন স্বয়ং হানা কেম্পবেল।