'অবাধ, ন্যায্য এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন', লুলাকে অভিনন্দন বাইডেনের
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধু ৬৭ বছর বয়সী বলসোনারো, বাইডেনের ২০২০ সালের নির্বাচনের বিজয়কে কখনই স্বীকৃতি দেননি। পাশাপাশি জুন মাসে তাঁর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রপতির প্রথম সাক্ষাতের আগে পর্যন্ত তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। দা সিলভা এর আগে ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি ‘অবাধ, সুষ্ঠ এবং বিশ্বাসযোগ্য’ নির্বাচনের পরে ব্রাজিলের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে তিনি লুলার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ। বামপন্থী ৭৭ বছর বয়সী লুলা দা সিলভা বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে নির্বাচনী দৌড়ে পরাজিত করেছেন যা তাঁর জন্য একটি অত্যাশ্চর্য প্রত্যাবর্তন বলে মনে করছেন অনেকেই। গত কয়েক দশকের মধ্যে ব্রাজিলের সবচেয়ে ডানপন্থী সরকারের সমাপ্তি চিহ্নিত করেছে লুলার জয়।
বাইডেন রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে অবাধ, সুষ্ঠ এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পর ব্রাজিলের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার জন্য আমার অভিনন্দন জানাচ্ছি’।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী মাস ও বছরগুলিতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আমি উন্মুখ।‘
দা সিলভা এর আগে ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
যদিও, অফিস ছাড়ার পরে তিনি একটি বিশাল দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। এরফলে তাঁকে ১৯ মাসের জন্য জেলে থাকতে হয়। সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি ২০২১ সালের মার্চ মাসে তার বিরুদ্ধে মামলা বাতিল করে দেন। এরপরেই তাঁকে আবার রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Vladimir Putin: অচিরেই গদি হারাবেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ ভ্লাদিমির পুতিন? পুতিনের পরে কে...
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধু ৬৭ বছর বয়সী বলসোনারো, বাইডেনের ২০২০ সালের নির্বাচনের বিজয়কে কখনই স্বীকৃতি দেননি। পাশাপাশি জুন মাসে তাঁর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রপতির প্রথম সাক্ষাতের আগে পর্যন্ত তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।
দা সিলভা বলসোনারোর অধীনে বিপর্যস্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং শনিবার তিনি বলেছিলেন যে তিনি তার মেয়াদের প্রথম দিকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের চেষ্টা করবেন।