আল কায়দার শীর্ষ নেতাকে কূটনৈতিক লড়াই শুরু
আল কায়দার শীর্ষ নেতা আবু আনাস অল লিবিকে নিয়ে শুরু হল কূটনৈতিক লড়াই । সরকারকে অন্ধকারে রেখে কেন এমন অভিযান চালানো হল,তার ব্যাখা চেয়েছে লিবিয়া । প্রধানমন্ত্রী আলি জাইদানের দফতরে তলব করা হয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে। আমেরিকার দাবি,আবু আনাস অল লিবিকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল মার্কিন সেনা। যে কোনও দেশ থেকেই তাকে হয় খতম অথবা গ্রেফতার করা হতো।
আল কায়দার শীর্ষ নেতা আবু আনাস অল লিবিকে নিয়ে শুরু হল কূটনৈতিক লড়াই । সরকারকে অন্ধকারে রেখে কেন এমন অভিযান চালানো হল,তার ব্যাখা চেয়েছে লিবিয়া । প্রধানমন্ত্রী আলি জাইদানের দফতরে তলব করা হয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে। আমেরিকার দাবি,আবু আনাস অল লিবিকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল মার্কিন সেনা। যে কোনও দেশ থেকেই তাকে হয় খতম অথবা গ্রেফতার করা হতো।
উনপঞ্চাশ বছর বয়সী আবু আনাস অল লিবির অন্য নাম নাজিহ আব্দুল হামেদ অল রাগিয়ে। ১৯৯০ সাল নাগাদ সে আল কায়দায় যোগ দেয়। ১৯৯৮ সালে আফ্রিকার কেনিয়া এবং তানজানিয়ায় স্থিত মার্কিন দূতাবাসে বোমা বিস্ফোরণ হয় । প্রাণ হারান ২২৪ জন। অল লিবিকেই ওই সন্ত্রাসের প্রধান পাণ্ডা হিসেবে চিহ্নিত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার ভোরে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে তাকে নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার করেছে মার্কিন সেনার নেভি সিলস।
সরকারের অনুমতি ছাড়া মার্কিন সেনা এভাবে অভিযান চালাল কেন, তার কৈফিয়ত তলব করেছে লিবিয়া। লিবির ভাই নাবেহ অল রাগিয়েও অপহরণের অভিযোগ করেছেন।
এটা তো অপহরণই। বিদেশি সেনা তো আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে যেসব তথ্যপ্রমাণ রয়েছে,তা লিবিয়া সরকারের কাছেই জমা দিতে পারত। এখানেই তার বিচার হতো ।
মার্কিন বিদেশসচিবের দাবি,আল কায়দার সব সদস্যই তাদের নিশানায় রয়েছে । এব্যাপারে অন্য কোনও রাষ্ট্রের আপত্তিতে কান দেবেন না তাঁরা।
এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে নাম রয়েছে আবু আনাস অল লিবির। তাঁর মাথার দাম ছিল ৫০ লক্ষ ডলার।