কিসের লোভে অনুপম খুনের ব্লুপ্রিন্ট সাজিয়েছিল মনুয়া?
প্রেম-ভালোবাসা, উদ্দাম স্বাধীনতা না একাধিক পুরুষ সঙ্গের হাতছানি? কিসের লোভে অনুপম খুনের ব্লুপ্রিন্ট সাজিয়েছিল মনুয়া? দফায় দফায় জেরা করে তাই বোঝার চেষ্টা করছে পুলিস। উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ওয়েব ডেস্ক: প্রেম-ভালোবাসা, উদ্দাম স্বাধীনতা না একাধিক পুরুষ সঙ্গের হাতছানি? কিসের লোভে অনুপম খুনের ব্লুপ্রিন্ট সাজিয়েছিল মনুয়া? দফায় দফায় জেরা করে তাই বোঝার চেষ্টা করছে পুলিস। উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বারাসতের হৃদয়পুরে হৃদয়হীনতার নজির। কোনও কিছুই বাদ যায়নি মনুয়া-অনুপম-অজিত ত্রিকোণ সম্পর্কের রসায়নে। জেরায় একের পর এক পর্দাফাঁসে তাজ্জব পুলিসও। জেরায় মনুয়া পুলিসকে জানিয়েছে, বাবা-মায়ে চাপেই সে অনুপমকে বিয়ে করেছিল। তার অভিযোগ, বিয়ের জন্য চাপ দেন স্থানীয় কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিকও। বিয়ে করতে না চেয়ে আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে গিয়েছিল মনুয়া। মনুয়ার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তাঁর ওপর মানসিক অত্যাচার করত অনুপম। ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ করতে বাধা দিত। অনুপম শুধু টাকা বুঝত। চাকরি ছেড়ে দিতে জোর করা হতো। এমনকি মনুয়ার প্রিয় বিষয় নাচেও বাধা দিতেন অনুপম। মাস ছয়েক আগেই অজিতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় মনুয়ার। অজিতের প্রস্তাবেই সে অনুপমকে খুন করতে রাজি হয়ে যায়। তৈরি করে অনুপম খুনের ব্লুপ্রিন্ট।
অনুপম খুনের রহস্যভেদ করতে অজিতকেও জেরা করেছে পুলিস। জেরায় অভিযুক্ত অজিত রায় জানিয়েছে, যেদিন অনুপমকে খুন করা হয়, সেদিনই কীভাবে খুন করা হবে তা বেশ কয়েকবার ট্রায়াল দেওয়া হয়েছিল। উপস্থিত ছিল মনুয়া। এরপর মনুয়ার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরে বাবার ফোন পেয়ে মনুয়া চলে যায়। বাড়িতে একা থাকে অজিত। অনুপম ফিরলে তাকে রড দিয়ে বারবার আঘাত করা হয়,পরে হাতের শিরা কেটে দেওয়া হয়।
মনুয়াকে জেরা করে পুলিসের অনুমান, চারদেওয়ালের ঘরোয়া জীবন একেবারেই পছন্দ ছিল না মনুয়ার। সে চাইত বিলাস-বিত্ত, সাসপেন্স, থ্রিলার , অ্যাডভেঞ্চেরারের বোহেমিয়ান জীবন। সেই নেশাতেই মনুয়া জড়িয়ে পড়েছিল একাধিক পুরুষসঙ্গে। উদ্দাম জীবনের ভেসে বেড়ানোর অনুপম কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল বলেই, সেই কাঁটা উপড়ে ফেলতেই মনুয়া বেছে নিয়েছিল অজিতকে। তবে এখানেই শেষ নয় পুলিসের অনুমান আগামী দিনে জেরায় আরও নানা অজানা তথ্য উঠে আসবে।