আমফানের দাপটে ভোজনরসিকদের পাতে আম হতে চলেছে দুষ্প্রাপ্য
জামাইষষ্ঠীর সময় থেকেই আমের চাহিদা ঊর্দ্ধমুখী হতে শুরু করে । কিন্তু আমফানের দাপটে জামাইষষ্ঠী আছে আম নাই ।
![আমফানের দাপটে ভোজনরসিকদের পাতে আম হতে চলেছে দুষ্প্রাপ্য আমফানের দাপটে ভোজনরসিকদের পাতে আম হতে চলেছে দুষ্প্রাপ্য](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/05/28/252342-mango.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: এক সপ্তাহ অতিক্রম করে গেছে বাংলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে সুপার সাইক্লোন আমফান। এই ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর চব্বিশ পরগনা , দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা । এক সপ্তাহ পরেও এই তিন জেলার আনাচেকানাচে ক্ষয়ক্ষতির বিধ্বংসী ছবি জ্বলজ্বল করছে । একদিকে যেমন অন্নহীন , বাসস্থানহীন মানুষের হাহাকার । তেমনি আরেকদিকে
চাষিদের হাহাকার ।
সুপার সাইক্লোনের তান্ডবে জমির ফসলের পাশাপাশি একরের পর একর জমির আমবাগান তছনছ হয়ে গেছে । বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের শিবদাসপুর , কেউটিয়া , পানপুর এবং উচ্ছেগড় সহ বিস্তীর্ণ এলাকার আমবাগানে নেমে এসেছে শূন্যতা । আমফানের দাপটে একের পর একর জমির আমগাছ উপড়ে গেছে । যেগুলো দাঁড়িয়ে আছে সেই গাছগুলোর ডাল ভেঙে সব আম ঝরে পড়ে গেছে । ক্ষতিগ্রস্ত আম চাষিদের দাবি , "আমফানের দাপটে প্রায় নব্বই শতাংশ আম পড়ে গেছে । বাজার থেকে সুদে টাকা ধার করে এক একটা বাগান ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকায় লিজ নিয়েছিলাম । ফলন শেষ হয়ে গেল । কিভাবে সংসার চালাব আর কিভাবেই বা ধার শোধ করব ।"
'বাসন্তী যেতে হবে', গাড়ি ভাড়া চেয়ে ফোন করে ডেকে খুন চালককে!
ঝড়ের দাপটে আম যেমন নষ্ট হয়ে গেছে তেমনি আমদানির থেকে জোগান বেশি হওয়াতে আমের দাম তলানিতে এসে ঠেকেছে । ঝড়ের দাপটে আমের গুনগত মান এত খারাপ যে ১৫ টাকা কেজি দরে আম বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের আম চাষিদের ।
জামাইষষ্ঠীর সময় থেকেই আমের চাহিদা ঊর্দ্ধমুখী হতে শুরু করে । কিন্তু আমফানের দাপটে জামাইষষ্ঠী আছে আম নাই । শুধু বারাকপুর নয় , আমফানের দাপটে গোটা রাজ্যজুড়ে আম চাষের এতটাই ক্ষতি হয়েছে যে ফলের রাজার স্বাদ আস্বাদনের তৃপ্তি থেকে বঞ্চিত হতে হবে ভোজনরসিক বাংলার মানুষকে ।