Rampaurhat Rape: যজ্ঞের অছিলায় ধর্ষণ! মা ও মেয়েকে খুনে ফাঁসির সাজা 'সাধুবাবা'র
তখন লকডাউন চলছে। মল্লারপুরে খুন হন এক মহিলা ও তাঁর কিশোরী মেয়ে। ২০২০ সালে ১৭ মে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বছর পঁয়তাল্লিশের ও মহিলার। বাড়ির বারান্দাতেই ছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী, ওই মহিলার মেয়ের মৃতদেহ।
প্রসেনজিৎ মালাকার: যজ্ঞের অছিলায় মাকে ধর্ষণ করে খুন। রেহাই পায়নি মেয়েও! জোড়া খুনে অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। ঘটনাস্থল, বীরভূমের রামপুরহাট।
আরও পড়ুন: ১২ লাখের বিনিময়ে সাদা খাতা জমা দিয়েই সমবায় ব্যাঙ্কে চাকরি!
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম হরিচরণ দাস। বাড়ি, সিউড়ির পানিয়ারা গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরেই অবশ্য মল্লারপুরে একটি আশ্রমেই থাকতেন তিনি। সাধুবাবা হিসেবে পরিচিত ছিলেন এলাকায়।
তখন লকডাউন চলছে। মল্লারপুরে খুন হন এক মহিলা ও তাঁর কিশোরী মেয়ে। ২০২০ সালে ১৭ মে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বছর পঁয়তাল্লিশের ও মহিলার। বাড়ির বারান্দাতেই ছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী, ওই মহিলার মেয়ের মৃতদেহ। তারপর? জামাইবাবুর নামে মল্লারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বোন। ১৯ মে থানায় আত্মসমপর্ণ করেন মৃতার স্বামী। শেষপর্যন্ত যখন ওই আশ্রমের মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিস, তখনই এই জোড়া খুনের রহস্যভেদ হয়।
কীভাবে? জানা যায়, বছর চারেক আগে মেয়ের শরীরে পোড়া দাগ মিলিয়ে দেওয়ার জন্য আশ্রমের 'সাধুবাবা' হরিচরণের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মৃতার স্বামী। চুক্তি হয় ১ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকায়! শুধু তাই নয়, ওই সাধুকে ৬৪ হাজার টাকাও দেন কিশোরীর মা। কিন্তু পোড়া দাগ মিলিয়ে যায়নি। কেন? টাকা ফেরত চাইলে, স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা করে হরিচরণ।
পুলিস সূত্রে খবর, বাড়িতে যজ্ঞ করার নির্দেশ দেয় ওই সাধু। ১৫ মে রাতে যজ্ঞ চালাকালীন কাজু বাদামের সঙ্গে ঘুমে ওষুধ খাইয়ে স্বামী-স্ত্রী ও মেয়েকে বেহুঁশ করে দেয়। এরপর ৩ জনকে রেখে দেয় আলাদা আলাদা ঘরে। অভিযোগ, স্রেফ ধর্ষণ নয়, বাধা দেওয়া ওই মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে হরিচরণ। এদিকে ততক্ষণে জ্ঞান ফিরে এসেছে মেয়ের। দেখে ফেলেছে মায়ের মৃতদেহ। ওই কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে খুন অভিযুক্ত। মৃতার স্বামীকে অচৈতন্য অবস্থায় রেখে আসে সিউড়ির একটি আশ্রমে।
আরও পড়ুন: Purulia: বিপর্যয়ের জোড়া ফলা! কোথাও সেতুই নেই, ভেলায় নদী পারাপার; কোথাও ধস সড়কে...