Jalpaiguri Molestion: সুদের টাকা নিতে এসে গৃহবধূর শ্লীলতাহানির চেষ্টা? হাতেনাতে পাকড়াও অভিযুক্ত
যখন সুদের টাকা নিয়ে আসে ওই যুবক, তখন বাড়িতে আর কেউ ছিল না। অভিযুক্তকে গাছে বেঁধে মারধর করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

প্রদ্যুৎ দাস: যিনি টাকা ধার নিয়েছিলেন, তিনি বাড়িতে ছিলেন না! সুদের টাকা আদায় করতে এসে গৃহবধূর শ্লীলতাহানির চেষ্টা? অভিযুক্তকে হাতেনাতে পাকড়াও করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাছে বেঁধে মারধর করা হল তাঁকে! ঘটনাস্থল, জলপাইগুড়ি।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম জয়ন্ত বর্মন। বাড়ি, জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সংলগ্ন সঞ্জয় নগর কলোনীতে। লোকজনকে সুদের বিনিময়ে টাকা ধার দেন তিনি। নির্যাতিতার দাবি, তাঁর শ্বশুর জয়ন্তের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। রবিবার রাতে সুদের টাকা নিতে যান ওই যুবক, তখন বাড়িতে আর কেউ ছিল না। সেই সুযোগেই ওই যুবক ঘরে ঢুকে মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত জয়ন্ত বর্মনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা। এরপর তাঁকে গাছে বেঁধে শুরু হয় মারধর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। জয়ন্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। তবে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে খবর।
আরও পড়ুন: Bankura Tutor Arrest: ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত গৃহশিক্ষক, কুকর্মের পেছনে তান্ত্রিকের প্ররোচনা?
এর আগে, পূর্ব বর্ধমানে টাকা দিতে না পারায় হাত-পা বেঁধে এক ব্যক্তিকে রেললাইনে ফেলে রেখে চলে যায় সুদের কারবারীরা! পরিবারের লোকেদের দাবি, ট্রেনে ধাক্কায় একটি পা কাটা গিয়েছে তাঁর। কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ওই ব্যক্তি। এমনকী, ছেলেকেও ফোন ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি ঠিক কী? কাটোয়ার শিবলুন গ্রামের বাসিন্দা রুদ্রভৈরব মুখোপাধ্যায়। পেশায় তিনি সরকারি কর্মচারী। ২০ অক্টোবর কাটোয়া শহর থেকে গ্রামে ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, গ্রামে ঢোকার মুখে রুদ্রভৈরবের পথ আটকান ২ দুষ্কৃতীরা। এরপর হাত-পা বেঁধে তাঁকে রেললাইলে ফেলে রেখে চলে যায়! কেন? রুদ্রভৈরবের দাবি, অফিসের এক সহকর্মীর কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি। যাঁর কাছ থেকে ধার নিয়েছিলেন, টাকা শোধ করার পরে নাকি তিনি সুদ বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা চাইছিলেন! তারজেরেই এই ঘটনা।