Konnagar: মহিলার অশ্লীল ছবি তুলে গ্রেফতার ঝালমুড়ি বিক্রেতা! যোগ বাম শিবিরের...
Konnagar: বৃহস্পতিবার রাত সারে আটটা নাগাদ কোন্নগর সুপার মার্কেট এলাকায় দিদির সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক মহিলা। আর লুকিয়ে সেই মহিলার পিছন থেকে ছবি তুলছিলেন অভিযুক্ত। মহিলা সঙ্গে সঙ্গে পুলিসে খবর দেন। পুলিস অভিযুক্ত আটক করেন।
বিধান সরকার: মহিলাদের নিতম্বের ছবি তোলার অভিযোগ! এমনই অভিযোগ তোলেন এক মহিলা। তিনি জানান, গতকাল রাতে কোন্নগর স্টেশন লাগোয়া সুপার মার্কেটের এক ঝাল মুড়ি বিক্রেতা এই নক্কারজনক ঘটনাটি ঘটনা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিসকে জানান। পুলিস অভিযুক্ত আটক করেন। আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কোন্নগরের প্রাক্তন সিপিআইএম এর চেয়ারম্যান বাসুদেব ইন্দ্রর ছেলে রানা ইন্দ্র। যার বিরুদ্ধে এর আগেও এই ধরনের অভিযোগ ছিল বলে জানান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী জানান,তারা বারণ করতেন এই ধরনের কাজ করতে। কিন্তু মদ্যপ অবস্থায় অশালীন কাজ করতেন অভিযুক্ত। তার দোকানে যারা ঝালমুড়ি খেতে আসে সেই মহিলাদেরই নিতম্বের ছবি তোলেন মোবাইলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সারে আটটা নাগাদ কোন্নগর সুপার মার্কেট এলাকায় দিদির সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক মহিলা। আর লুকিয়ে সেই মহিলার পিছন থেকে ছবি তুলছিলেন অভিযুক্ত। এই ঘটনা দেখতে পেয়ে মহিলার দিদি তার বোনকে জানায়। যুবতী তার মোবাইল কেড়ে নিতে গেলে তার হাত ধরে টানাটানি করে বলেও অভিযোগ। এরপরেই খবর দেওয়া হয় কোন্নগর ফাঁড়ির পুলিসকে। পুলিস এসে আটক করে নিয়ে যায় অভিযুক্তকে।
কোন্নগর পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান স্বপন দাস বলেন, 'মহিলাদের অসম্মান করে সিপিএম।আবার মহিলাদের সম্মানের জন্য রাত জাগে মিছিল করে।'
আরও পড়ুন:Road Accident: ভয়ংকর সংঘর্ষে ২৬ যাত্রীকে নিয়ে উল্টে গেল বাস! ঘটনাস্থলেই মৃত ৪...
সুপার মার্কেটের দোকানদার লক্ষী কান্ত অধিকারী বলেন, 'সুপার মার্কেট এলাকাতেই রানার ঝালমুড়ির দোকান। মার্কেটে দুই মহিলা এসেছিলেন আর রানা তাদের অশ্লীল ছবি তুলেছে। রানা আগেও মদ্যপ অবস্থায় এসব কাজ করেছে তাকে বারন করাও হয়েছে অনেকবার কিন্তু সে কারোর কথা শোনে না।'
অভিযোগকারী মহিলা বলেন, 'তারা প্রায়ই এই মার্কেটে আসেন এবং ঝালমুড়ির দোকান সেখান থেকে মুড়ি খান। তারা দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। আর রানা একটু দূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপরেই তার দিদি তাকে বলেন দেখ রানা তোর ছবি তুলছে। আমি রানাকে ছবি তোলার প্রতিবাদ করি। তখন রানা জানায় মহিলাদের বিভিন্ন ছবি তুলতে তার ভালো লাগে। তখন আমি রানার থেকে ফোন কেড়ে নিলে, রানা আমার হাত ধরে টানা টানি শুরু করে। আমি ভয়ে চিৎকার শুরু করে দিই। তখন স্থানীয়রা এসে রানাকে ধরে ফেলে পুলিসে খবর দেয়। পুলিস এসে রানাকে নিয়ে যায়।'
সিপিআইএমের হুগলি জেলা কমিটির সদস্য অর্ণব দাস বলেন, এই ভদ্রলোকের সঙ্গে আমাদের পার্টির কোনও যোগ নেই। তিনি কোনওদিনই আমাদের পার্টির সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন না। তাই এ বিষয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। যদি কেউ দোষ করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে। ওর বাবা আমাদের বর্ষীয়ান নেতা। বাবা নেতা হলেও ছেলের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।'
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)