স্ত্রীকে খুনের পর শিক্ষক স্বামীর স্বীকারোক্তি, ‘সন্তানদের ভবিষ্যত নষ্ট করেছি’
এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই শিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হন। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুরও চালান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সন্তানের জন্য বিবাদ। আর সেই বিবাদের চরম পরিণতিতে স্ত্রীর প্রাণহানি। তার জেরে প্রকাশ্যেই ভেঙে পড়লেন শিক্ষক স্বামী। অকপটে দিলেন স্বীকারোক্তি। সকলের সামনে বললেন, “আমার সন্তানদের ভবিষ্যত নষ্ট করেছি আমি। আমাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন।”
ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের উত্তরপাড়া। নিহত মহিলার নাম সোয়েদা আয়েশা সিদ্দিকি (২৮)। অভিযুক্ত স্বামীর নাম তফোজ্জল হোসেন। তাঁর দাবি, তাঁদের অসুস্থ ছেলেকে রায়গঞ্জ হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য নিয়ে যাওয়া নিয়ে বিবাদ বাঁধে স্ত্রীর সঙ্গে। বিবাদ চলাকালীন তিনি স্ত্রীকে ধাক্কা মারেন। সেই ধাক্কার জেরে আয়েশা মাটিতে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ২০৭০-এর মধ্যে বিলুপ্ত হতে পারে সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার
এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই শিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হন। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুরও চালান। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আয়েশার বাবা সৈয়দ আজগর আলি মেয়ের মৃত্যুতে কাঠগড়ায় তুলেছেন জামাইকেই।
তাঁর অভিযোগ, এর আগেও মেয়ের উপর অত্যাচার চালিয়েছে তফোজ্জল। টাকার দাবিতে মেয়ের উপর অত্যাচার চালানো হত। তার জেরেই এই ঘটনা। আয়েশার বাবা এ নিয়ে পুলিসের কাছে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ির সামনেই খুন যুবক, ত্রিকোণ প্রেমের জের? তদন্তে পুলিস
যদিও স্ত্রীকে ইচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ মানতে নারাজ তফোজ্জল। তাঁর দাবি, তিনি অনিচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করে ফেলেছেন। সেই কারণেই তিনি নিজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।