একটি বুনো হাতি রেললাইন ধরে ট্রেনের দিকেই এগিয়ে আসছিল! তারপর?
চালকের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল হাতির!
নিজস্ব প্রতিবেদন: উলটপুরাণ। উলটপুরাণের ঘটনাস্থল চাপড়ামারি বনাঞ্চল।
উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ ক্ষেত্রে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যায় বন্যপশু। কখনও ট্রেনের গতি থাকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে, কখনও সিগন্যালিংয়ে গাফিলতি, কখনও আবার সরাসরি গাফিলতি ট্রেনচালকেরই। কিন্তু এবারে ঘটল উল্টো ঘটনা। এবার ট্রেনচালকের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল এক বুনো হাতি (tusker)। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ চালসা ও নাগরাকাটার মাঝে চাপড়ামারি বনাঞ্চল এলাকায়।
আরও পড়ুন: ভোররাতে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে রেশন চাল খেয়ে গেল দলছুট হাতি
ডুয়ার্সের (dooars) বুক চিরে শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার (alipurduar) পর্যন্ত একাধিক বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে রেলপথ। চালসা ও নাগরাকাটার মাঝে প্রায় ১২ কিমি রেলপথ গিয়েছে চাপড়ামারি বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে। শনিবার সকালে ০৭৫৪১ নম্বর শিলিগুড়ি-ধুবড়ি আপ স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি চালিয়ে শিলিগুড়ি থেকে ধুবড়ি যাচ্ছিলেন চালক রাজীব কুমার ও সহকারী চালক জি কে দাস। চালসা (chalsa) ও নাগরাকাটার (nagrakata) মাঝে জলঢাকা নদীর ব্রিজের কাছে তাঁরা দেখতে পান এক বুনো হাতি রেললাইন ধরে ট্রেনের দিকেই এগিয়ে আসছে। এই দৃশ্য দেখে দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন তাঁরা। ট্রেনটি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে বুনো দাঁতালটি বনে ঢুকে পড়ে। এরপর চালকদ্বয় ট্রেন ফের চালু করে গন্তব্যের দিকে রওনা হন।
রাজীব কুমার ও জি কে দাসের এই তৎপরতা ও উপস্থিত বুদ্ধিকে সাধুবাদ দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ডুয়ার্সের পরিবেশপ্রেমীরাও। মাল মাউন্টেন ট্রেকার ফাউন্ডেশনের সম্পাদক স্বরূপ মিত্র বলেন, ট্রেনের চালকদ্বয় এক্ষেত্রে তাঁদের যে তৎপরতা ও উপস্থিত বুদ্ধি দেখিয়েছেন তাতে আমরা খুশি। এই দুই চালককে সাধুবাদ জানাই। ভবিষ্যতে এঁদের সংবর্ধনাও দেব আমরা। বনের পথে ট্রেন ও অন্য গাড়ির চালকদের এইভাবেই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে ২৬টি হাতির হানা, আতঙ্কে ত্রাহি ত্রাহি রব, ঘুম ছুটেছে বাসিন্দাদের