Namkhana: ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে চার তলা থেকে নীচে পড়ে মৃত্যু নাবালকের...
Namkhana: তখন সেখানে আরও যাঁরা কাজ করছিলেন তাঁরা দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে তামিলনাড়ুর এক হাসপাতালে ভর্তি করে। ভর্তি করলে ওখানে কর্মরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

নকিবউদ্দিন গাজি: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের দেবনগর এলাকায় তিন মাস আগে পূর্ণচন্দ্র দাস নামে এক নাবালক কাজের উদ্দেশ্যে বেঙ্গালুরু গিয়েছিল। তার পরিবারসূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে পরশুদিন অসাবধানতাবশত পূর্ণচন্দ্র দাস নামে ওই নাবালক চার তলা উচ্চতা থেকে নীচে পড়ে যায়। কাজের সময় সেফটি বেল্ট পরা ছিল না। তার ফলেই এই দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন: Bangaon: 'বাবা, আমি টাকা পাঠালে ফল কিনে খেও'! সেই বাবা এখন ছেলের মৃতদেহের অপেক্ষায়...
তার সঙ্গে তখন সেখানে আরও যাঁরা কাজ করছিলেন তাঁরা, দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে তামিলনাড়ুর এক হাসপাতালে ভর্তি করে। ভর্তি করলে ওখানে কর্মরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
পরে এ খবর দেওয়া হয় তার গ্রামের বাড়িতে, পরিবারের লোকজনকে। তার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মৃতদেহ বেঙ্গালুরু থেকে ভোরে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। দেহ আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার, শোকার্ত গোটা পাড়া।
পরিবার থেকে শুরু করে এলাকার মানুষজনের দাবি, সংসারে অভাব ছিল, কাজ দরকার ছিল তার। সে এখানে কাজ পায়নি। রাজ্যে যদি কাজ পেত তাহলে তাকে ভিন রাজ্যে যেতে হত না। সেক্ষেত্রে হয়তো এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটত না!
এদিকে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বনগাঁয়। মুম্বইয়ের নবনির্মিত ১৬ তলা বিল্ডিং থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বনগাঁর তিন যুবকের। মুম্বইয়ের বোরিবালিতে বিল্ডিংয়ের কাজে গিয়েছিলেন বনগাঁ থানার সীতনাথপুর ও চাঁদার এই তিন যুবক। কাজের সময় বিল্ডিংয়ের কার্নিশ ভেঙে ষোলো তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। মৃত তিন যুবকের নাম-- পীযূষ হালদার (৪২), শংকর বৈধ (২৬), মনোরঞ্জন সমাদ্দার (৪৫)।
আরও পড়ুন: Sun Transit: সূর্য প্রবেশ করে গিয়েছে মীনে! এজন্য কোন রাশির জীবনে ঘনিয়ে আসছে অন্ধকার, কাদের ভাগ্যোদয়?
পরিবারের হাল ধরতেই ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। পরিবারের লোকেরা জানান, রাজ্যে কাজ নেই, তাই বাড়ি থেকে দূরে, ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকেই বাড়িতে সংসার চালানোর টাকা পাঠাতেন পীযূষ-মনোরঞ্জনেরা। একই সঙ্গে গ্রামের তিন ছেলের মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবারপরিজন-সহ গোটা এলাকা। মন ভার করে সকলে মৃতদেহের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)