সরকারি নথিতে করোনার উল্লেখ নেই , তবুও ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে রইল ২ দেহ
একই অবস্থা পাঁশকুড়া থানার অন্তর্গত ফকিরগঞ্জ গ্রামে । গুরুচরণ ম্যেটা । ৫৬ বছরের এই ব্যক্তি কলকাতায় ফলের ব্যবসা করতেন । কয়েক দিন আগে জ্বর নিয়ে বাড়িতে আসেন ।
![সরকারি নথিতে করোনার উল্লেখ নেই , তবুও ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে রইল ২ দেহ সরকারি নথিতে করোনার উল্লেখ নেই , তবুও ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে রইল ২ দেহ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/07/24/264015-emid-body.png)
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার আতঙ্ক মানুষকে কতটা নির্মম এবং নির্দয় করে তুলেছে তার জলন্ত উদাহরণ পূর্ব মেদিনীপুরে দুটো ঘটনা । করোনাতে মৃত্যু হয়েছে কিনা তার কোন ডাক্তারি রিপোর্ট এবং সরকারি নথি নেই । তবুও মহিষাদলের গেঁওখালিতে ৭০ বছরের প্রদীপ দাস নামে এক বৃদ্ধের মৃতদেহ ১৬ ঘণ্টা এবং পাঁশকুড়া থানার ফকিরগঞ্জ গ্রামে ৫৬ বছরের গুরুচরণ ম্যেটার মৃতদেহ ১০ ঘণ্টা ধরে পড়েছিল।
মৃত ব্যাক্তিদের দুটি পরিবারই একাধিকবার স্থানীয় বাসিন্দা , স্থানীয় থানা এবং প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও দেহ সত্কার করতে পারেনি । কারণ প্রতিবেশী থেকে প্রশাসন সবাই ধরে নিয়েছে এই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে করোনাতে। কিন্তু সরকারি নথিতে তাঁদের মৃত্যু করোনাতে হয়েছে তা লিপিবদ্ধ নেই ।
মৃত প্রদীপ দাসের পরিবারের অভিযোগ , “ কয়েকদিন ধরে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর ও মাঝেমাঝে বমিও করত। ডাক্তার দেখানোর পর ম্যালেরিয়া ও করোনা টেষ্ট করাতে বলেন। সেইমত টেষ্ট করানো হয়। ম্যালেরিয়ার রিপোর্ট বৃহস্পতিবার ও করোনার রিপোর্ট শনিবার আসার কথা। কিন্তু তার আগেই বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর প্রায় ১৬ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও দেহ সৎকার করতে পারিনি।“
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে 'গুলি', নতুন করে উত্তেজনা ভাটপাড়ায়
মহিষাদল থানার পুলিশ ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তিলক চক্রবর্তী মৃত প্রদীপ দাসের বাড়িতে যান এবং দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন । তিলক চক্রবর্তী জানান, “আমাদের কাছে খবর ছিল না । খবর পাওয়ার পর ব্যবস্থা নিয়েছি।“
একই অবস্থা পাঁশকুড়া থানার অন্তর্গত ফকিরগঞ্জ গ্রামে । গুরুচরণ ম্যেটা । ৫৬ বছরের এই ব্যক্তি কলকাতায় ফলের ব্যবসা করতেন । কয়েক দিন আগে জ্বর নিয়ে বাড়িতে আসেন । তাঁর হার্টের ও হাঁপানির সমস্যা ছিল । ফলে শ্বাসকষ্ট ছিল । পুলিসের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই ব্যক্তির মৃত্যু ব্রেন স্ট্রোকে হয়েছে। ডাক্তারি রিপোর্ট থেকে সরকারি নথি কোথাও করোনার উল্লেখ নেই । এরপরও গুরুচরণ ম্যেটার মৃতদেহ ঘিরে করোনা আতঙ্ক ছড়ায়।