Mal River Flash Flood: 'ম্যান মেড ডিজাস্টার, ম্যান মেড ম্যাসাকার', মালবাজারে বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক
মালবাজারে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। আহতদের দেখতে যান হাসপাতালে। পুরসভার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মালবাজারে বিজেপির প্রতিনিধিদল। 'ম্যান মেড ডিজাস্টার, ম্যান মেড ম্যাসাকার', বিস্ফোরক ফালাকাটার বিধায়ক নরেশ বর্মন। প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। 'শকুনের দল কুৎসা করছে', প্রতিক্রিয়া তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের।
তখন প্রতিমা নিরঞ্জন চলছে। দশমীর সন্ধেয় আচমকাই হড়পা বান আসে জলপাইগুড়ির মাল নদীতে। প্রবল স্রোতে ভেসে যান বহু মানুষ। অনেকে আবার সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু নদীতে স্রোত এতটাই বেশি ছিল যে,পাড়ের দিকে এগোতে পারছিলেন না তাঁরা! প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশু-সহ ৮ জনের। দ্ধকালীন তৎপরতায় চলে উদ্ধারকাজ। উদ্ধার করা গিয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
কীভাবে ঘটল এমন বিপর্যয়? এদিন মালবাজারে যায় বিজেপি ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ৭ বিধায়ক, একজন সাংসদ ও জেলা সভাপতি। মৃতের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। আহতদের দেখতে যান হাসপাতালে।
ফলাকাটার বিজেপি বিধায়ক নরেশ বর্মন বলেন, 'ম্যান মেড ডিজাস্টার, ম্যান মেড ম্যাসাকার। এর সঙ্গে প্রকৃতির কোনও সম্পর্ক নেই। সেদিন প্রকৃতি নিজের খেয়ালে চললে, এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত না'। তাঁর দাবি, 'কোনও ভুল নয়, এটা ইচ্ছাকৃত অপরাধ। ওরা ভাল-মন্দ সবটাই জানত, তারপরেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেকারণেই এটা অপরাধ। কবে শাস্তি হবে, বকলমে তৃণমূল কংগ্রেস নিশ্চিত করুক'। যাঁরা বির্সজনের ব্যবস্থা করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার দাবি করেছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও।
আরও পড়ুন: Haridevpur Murder : বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে খুন? মগরাহাটে উদ্ধার হরিদেবপুরে নিখোঁজ যুবকের দেহ
মালবাজার শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিলীপ পণ্ডিত। হড়পা বানে ছেলে-সহ পরিবারের দু'জনকে হারিয়েছেন তিনি। এদিন মালবাজার পুরসভার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কেন? দিলীপ পণ্ডিতের অভিযোগ, 'বিসর্জনের আগে সতর্কতামূলক কোনও ব্যবস্থা ছিল না। প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই বিপর্যয় ঘটেছে'।
মালবাজারকাণ্ডে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন। এদিন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'যমুনা নদীতে যাঁরা একই দিনে বিসর্জনে মারা গেলেন, বিজেপি কী বলবে? মালবাজারে নিঃসন্দেহে দুর্ঘটনা ঘটেছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে'। সঙ্গে যোগ করেন, 'এটাও তো মানতে হবে, মালবাজারে যখন জল বাড়তে শুরু করেছে, পুসিশ মাইকিং করেছে। বহু মানুষ কথা শুনেছেন, কিন্তু অনেকে কথা শোনেননি। পুলিস কী করবে? কতজনকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কয়েকজন মারা গিয়েছে। শকুনের দল বিজেপি পার্টি কুৎসা করছে'।