Dilip Ghosh: '২৬-এর নির্বাচনের আগে আরও বেশি টাকা পাওয়া যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে...!' চমকে দিলেন দিলীপ
Lakshmir Bhandar: মাসের পর মাস ধরে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ঢুকছে অ্য়াকাউন্টে। 'লক্ষীর ভাণ্ডার বিনা বরাদ্দেই হয়েছিল সেটা এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন। ২৬ সালের আগে হয়তো সেই বরাদ্দ আবার বাড়বে। যে নির্বাচন আসছে সে নির্বাচনের আগে বাজেট হবে।'
![Dilip Ghosh: '২৬-এর নির্বাচনের আগে আরও বেশি টাকা পাওয়া যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে...!' চমকে দিলেন দিলীপ Dilip Ghosh: '২৬-এর নির্বাচনের আগে আরও বেশি টাকা পাওয়া যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে...!' চমকে দিলেন দিলীপ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2025/02/13/521173-laji-dilip.jpg)
বিধান সরকার: বুধবার রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ নিয়ে কোনও ঘোষণা করেনি সরকার। তবে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন বাড়বে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। বাংলার বাড়িতে ১৬ লক্ষ উপভোক্তার জন্য ৯৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে রাজ্য বাজেটে। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'রেসিও মেনে কেন্দ্র সব রাজ্যকে দিচ্ছে। অন্য রাজ্য ৫০-৫২ শতাংশ ডিএ দিচ্ছে আর আপনারা ১৮ শতাংশ ডিএ দিচ্ছন। নেবার বেলায় এগিয়ে বাংলা,রোজ মিটিং মিছিল মোদী দিচ্ছে না। আর দেবার বেলায় হাত উল্টে রাখবেন, পিছিয়ে বাংলা।'
আরও পড়ুন, Lakshmir Bhandar: লক্ষীর ভান্ডারের টাকা ঢুকছে অন্য অ্যকাউন্টে! বিডিও অফিসে ধর্ণা গৃহবধূর...
আপনারা শিল্পের জন্য কত কোটি টাকা দিচ্ছেন? ১৪০০ কোটি টাকা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের জন্য ৮০০ কোটি টাকা আর মাদ্রাসার জন্য ৫৬০০ কোটি টাকা। কি চাইছেন সরকারি স্কুলগুলো বন্ধ করে দিয়ে মাদ্রাসা খুলতে? তাহলে স্কুলগুলোকে দিয়ে দিন যেখানে ছাত্র নেই, শিক্ষক নেই, তাহলে মাদ্রাসাই চলুক।,কেউ সরকারি স্কুলে যায় না।এবার মাদ্রাসা স্কুল হবে আর বাংলাদেশ হবে সেই দিকেই নিয়ে যাচ্ছেন।
সাধারণ মানুষের জন্য উন্নয়ন করুন, শিল্প করুন, যদি শিল্প চান তাহলে মাত্র কেন ১৪০০ কোটি টাকা দিচ্ছেন? বেশি করে দিন তাহলে তো শিল্প হবে। ওনারা জানেন, কোনও শিল্প হবে না, কেউ আসবে না। বছরে একটা সামিট করে ছবি-টবি তুলে দেখিয়ে দিলাম যে আমরা চেষ্টা করছি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে ঘোষণা নেই বাজেটে। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, লক্ষীর ভাণ্ডার বিনা বরাদ্দেই হয়েছিল সেটা এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন। ২৬ সালের আগে হয়তো সেই বরাদ্দ আবার বাড়বে। যে নির্বাচন আসছে সে নির্বাচনের আগে বাজেট হবে। সেই বাজেট এই লক্ষীর ভাণ্ডারে বরাদ্দ বাড়ানো হবে। কারণ ইলেকশানের জন্য বাজেট হয়।
এখন বলছে এই বছরটা চালিয়ে দেওয়া হোক। এদিকে টানলে ওদিকে পা বেরিয়ে যাচ্ছে। গঙ্গাসাগর ব্রিজের জন্য ৫০০ কোটি টাকা, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। উনি ১৪ বছর হয়ে যাওয়ার পর টাকা বরাদ্দের কথা বলছেন। যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে আগে করেননি কেন। কেন্দ্র তো টাকা দিতে চায়। মাস্টার প্ল্যান আটকে আছে ১২০০ কোটি টাকার জন্য। আপনি আপনার হিস্সার টাকাটা দিচ্ছেন না কেন। ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে আটকে রেখে দিলেন কবে হবে পুরোটা। সামনেরবার আপনি থাকবেন কিনা ঠিক নেই। গঙ্গাসাগর ব্রিজের জন্য কত কোটি টাকা খরচা হবে। আপনি দিচ্ছেন মাত্র ৫০০ কোটি টাকা কি হবে তাতে। লুট হয়ে যাবে টাকা।
ইচ্ছা থাকলে আপনি আগেই করতে পারতেন। কারণ যদি এয়ারপোর্ট হতে পারে, রেল হতে পারে, হাইওয়ে হতে পারে কেন্দ্রের টাকায়। তাহলে এগুলো কেন নিচ্ছেন না আপনি? কি দেখাতে চাইছেন? ৭২ লক্ষ লোকের বাড়ি করার জন্য টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। তার ৪০ শতাংশ যদি আপনি দেন তাহলে ৭২ লক্ষ লোক বাড়ি পায়। আর আপনি দিচ্ছেন ১৬ লক্ষ লোকের জন্য। বাকি লোকগুলো কি দোষ করল তারা তো পাওয়ার হকদার। তারা কেন পাবে না? আপনার রাজনীতির জন্য। অথচ কেন্দ্র টাকা পাঠাচ্ছে। আপনি সেগুলো মেরে দিয়েছেন।
রাতে খরচা করছেন না এগুলো নিজের নামে চালাচ্ছেন। এতে বাংলার লোকই বঞ্চিত হচ্ছে। কুম্ভে স্নান করে দিলীপ ঘোষ বলেন, মহাযোগ এসেছে। ২০২৫ সালে নতুন ইতিহাস রচিত হবে ভারতবর্ষে। প্রয়াগে মহাকুম্ভ হয়েছে মোদীজি যোগীজির নেতৃত্বে। গোটা বিশ্বের লোক এসেছে। কষ্ট হয়েছে কিন্তু মানুষ হাসিমুখে কষ্ট সহ্য করে স্নান করে বাড়ি ফিরছে। প্লেনে-ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। গাড়ি করে গিয়েছিলাম বোনাস হিসেবে অযোধ্যার কাশি দর্শন করলাম। ভারতবর্ষের উত্থানের বছর এটা তাই সেই সুযোগটাকে আমরা কাজে লাগিয়েছি।
হুগলির যিনি সাংসদ তিনি প্রয়াগে গিয়ে স্নান করেছিলেন, ত্রিবেণী তো এসেছেন শুনলাম। ভালো করেছেন এটাই তো হওয়া উচিত। আমাদের সংস্কৃতি পরম্পরাকে মেনেই করা উচিত। ৭০ টা দেশ থেকে মানুষ এসেছে স্নান করতে। আমাদের দেশের মানুষরা যদি না যান এই মহাকুম্ভ আর জুটবে না। বাংলার শাসক দল প্রয়াগের অব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, সমালোচনা তো করবেই। গঙ্গাসাগরের দু লাখ লোক হয়েছে আর ওখানে পঞ্চাশ ৬০ কোটি লোক গেছে। যেটা ১৪৪ বছর পর হবে সেখানেই তো লোক যাবে। গঙ্গাসাগর তো প্রতিবছর হয়। আমি নিজেই গেছি দেখেছি লোকই হয়নি কিন্তু খরচা তো হয়েছে। উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। পরের বছর ভালো করে করুন লোক যাবে নিশ্চয়ই।
আরও পড়ন, Canning: আমাকে বাঁচান স্যার! জ্যান্ত কেউটে সাপ হাতে হুড়মুড়িয়ে চিকিত্সকের চেম্বারে যুবক...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)