Anubrata Mandal: গোরুপাচারেই শেষ নয়, সরকারি কাজের বরাতের বদলে কমিশন নিত অনুব্রত!
Cow Smuggling Case: ইডির চার্জশিটে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য অনুব্রতর বিরুদ্ধে। বীরভূমে বিভিন্ন সরকারি কাজের বরাত পাইয়ে দিয়ে কমিশন নেওয়ার অভিযোগ কেষ্টর বিরুদ্ধে। এমনকী বয়ানে এক ব্যবসায়ী জানান, কাজের ভিত্তিতে ১ থেকে ৫ শতাংশ হারে কমিশন তুলে দিতেন তিনি।
পিয়ালি মিত্র: শুধু গোরুপাচারের নয় সরকারি কাজে টেন্ডার পাইয়ে দিয়ে টাকা নেওয়া থেকে জেলা পরিষদের কাজ থেকেও কমিশন নিতেন অনুব্রত মন্ডল। কেষ্ট গ্রেফতার হওয়ার পর বীরভূমে বিভিন্ন সরকারি কাজের বরাত পাইয়ে দিয়েও যে অনুব্রত কমিশন নিত সেই অভিযোগ শোনা গিয়েছিল। এবার ইডির চার্জশিটেও উঠে এল সেই তথ্য। ১২ ডিসেম্বর ইডিকে দেওয়া বয়ানে বীরভূমের এক কন্ট্রাক্টরের জানান, তিনি ২০১০ সাল থেকে অনুব্রত মন্ডলকে চেনেন। সরকারি কাজের বরাত পেতে তিনি নিয়মিত পার্টি ফান্ডের আকারে অনুব্রত মন্ডলকে কমিশন দিতেন। কাজের ভিত্তিতে ১ থেকে ৫ শতাংশ হারে কমিশন তুলে দিতেন তিনি।
এমনকী অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের হাতে সেই টাকা তুলে দিতে বলে দাবি করেন ওই ঠিকাদার। এখানেই শেষ নয় বীরভূমের আরও এক ব্যবাসায়ী ৩ নভেম্বর ২২ সালে ইডিকে দেওয়া বয়ানে দাবি করেন, জেলা পরিষদের বিভিন্ন বরাত পাইয়ে দেওয়া এবং সুবিধা পাইয়ে দিয়ে কমিশন নিতেন অনুব্রত মণ্ডল। ইডির কাছে তিনি জানান, ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিকভাবে তিনি অনুব্রত মন্ডলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০০৮ সালে তার সঙ্গে অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে আলাপ হয়। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তাঁর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি অনুব্রত মন্ডলের চালকল ব্যবসার দেখাভাল করতেন। কিন্তু পরবর্তী কালে অন্য একজনকে সেই দায়িত্ব দিলে তাদের মধ্যে কিছু সমস্যা তৈরি হয়। ওই ব্যবসায়ী বয়ানে আরও দাবি করেন, জেলা পরিষদ থেকে কমিশনের টাকা সংগ্রহের দায়িত্ব ছিল সায়গল হোসেনের। অনুব্রত মন্ডলের হয়ে সেই কাজ করতেন সায়গল এবং নগদ লেনদেনের বিষয়টিও দেখভাল করতেন অনুব্রতর দেহরক্ষী।
আরও পড়ুন, Cyclone Mocha: আজই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত, মোকার প্রভাব কতটা পড়বে বাংলায়?