Amartya Sen Land Dispute: উচ্ছেদ নোটিস আসার পরই জমির মিউটেশন হয়ে গেল অমর্ত্যর নামে, ছাড়ার পাত্র নয় বিশ্বভারতীও
Amartya Sen Land Dispute: রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো বলেন, জমির মালিকানা এখনও রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই। শুধুমাত্র ইজারাদার হিসাবে নাম পরিবর্তন হয়ে আশুতোষ সেনের জায়গায় অমর্ত্য সেন হয়েছে

প্রসেনজিত্ মালাকার: অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদ নোটিস পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী। তার মধ্যেই জমি বিতর্কে বড়সড় মোড়। নেবেল জয়ী অর্থনীতিবিদের নামে তাঁর পারিবারিক জমি মিউটেশন হয়ে গেল। ফলে বিশ্বভারতীর সঙ্গে জমি নিয়ে অমর্ত্য সেনের যে সংঘাত চলছিল তাতে নতুন মাত্রা যোগ হল। তবে জমি যে অমর্ত্য সেনের হাতে চলে গেল তা মানতে নারাজ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন-শান্তিনিকেতন থেকে অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিস বিশ্বভারতীর!
পরিবারিক জমি নিজের নামে করতে বোলপুর বিএলআরও অফিসে আবেদন করেন অমর্ত্য সেন। সেই আবেদন করার পর দুটি শুনানি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই জমির নাম পরিবর্তন এতদিন সম্ভব হয়নি। সোমবার জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আশুতোষ সেনের নামে থাকা জমি অমর্ত্য সেনের নামে মিউটেশন করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে উচ্ছেদের নোটিসের কি আর কোনও অর্থ রইল? ছেড়ে কথা বলার পাত্র নয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষও।
বিশ্বভারতীর অভিযোগ, অমর্ত্য সেন জোর করে ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে রেখেছেন। ওই ১৩ ডেসিমেল জমি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়কে ফিরিয়ে দিতে হবে। নোবেল বিজয়ীর বাবা আশুতোষ সেন ১৯৪৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ১২৫ ডেসিমেল জমি লিজ নিয়েছিলেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অমর্ত্য সেনের পরিবারের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের জমি অবৈধভাবে দখলে রাখার অভিযোগ করেন। অমর্ত্য সেন তখনই জানিয়েছিলেন জমির প্লটটি দীর্ঘমেয়াদী লিজে রয়েছে।
এদিকে, ওই বিতর্কিত জমি অমর্ত্য সেনের নামে মিউটেশন হয়ে যাওয়ার পর ময়দানে নেমেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো বলেন, জমির মালিকানা এখনও রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই। শুধুমাত্র ইজারাদার হিসাবে নাম পরিবর্তন হয়ে আশুতোষ সেনের জায়গায় অমর্ত্য সেন হয়েছে। যে নথি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে কোথাও স্পষ্ট করে বলা নেই যে ১.৩৮ একর জমি অমর্ত্য সেন এর নামে করা হল। যদিও ইতিমধ্যেই আমরা বিএলআরও দফতরকে এই বিষয়ে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছি।
অশোক মাহাতো আরও বলেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ১.২৫ একর জমি লিজে দিয়েছিলেন আশুতোষ সেনকে। ফলে বাকি অংশটা দখল করাই বলা যেতে পারে। আর সেই মোতাবেক আমরা আগেই নোটিস দিয়েছি। অন্যান্য লিস হোল্ডারদের ক্ষেত্রে যেভাবে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া করে থাকি এক্ষেত্রেও সেই একই কাজ করা হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আলাদাভাবে যেমন কাজ করার তেমন চালিয়ে যাবে।