শেহবাগকে কাঁদালেন স্বপ্নার মা! 'আমি ওর ফ্যান', ঘোষণা বীরুর
এশিয়ান গেমসের পর এবার ওলিম্পিকে চোখ জলপাইগুড়ির স্বপ্নার।
নিজস্ব প্রতিনিধি : যেন অনেক কিছুর উত্তর দিয়ে ফেলল তাঁর মেয়ে। যেন অনেকের অনেক কথার উত্তর দিয়ে ফেললেন তিনি। সেই অনেক কিছুর জবাব দেওয়ার পর নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না। হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন বাসন্তীদেবী। তার পর হত্যে দিলেন ঠাকুরের চরণে। কাঁদতে কাঁদতে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানালেন তিনি। মেয়ে স্বপ্না বর্মনের এমন সাফল্যের পর মা বাসন্তীদেবী নিজেকে আর যেন সামলাতে পারছিলেন না।
আরও পড়ুন- এশিয়ান গেমসের এক ছবিতে মিশে গেল ভারত-পাকিস্তান
জলপাইগুড়ির ঘোষপাড়ায় চোখ ছিল গোটা দেশের। মেয়ে জাকার্তায় দেশকে সোনা জেতানোর কঠিন লড়াই লড়ছেন। বাড়িতে মা-বাবার অবস্থা দেখার জন্য গোটা দেশ অধীর আগ্রহে বসে ছিল। অপেক্ষা ছিল, স্বপ্না বর্মন এশিয়াডে পদক জয়ের পর তাঁর মা-বাবার প্রথম প্রতিক্রিয়া কেমন হয়! সেই ছবি এখন দেশের মানুষে দেখা হয়ে গিয়েছে। তবে ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র শেহবাগের সেই ছবি দেখতে একটু দেরি হল। তবে স্বপ্নার মায়ের সেই কান্নার ছবি দেখে বীরুর চোখেও জল চলে এল। শেহবাগ আরও বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন স্বপ্নার লড়াইয়ের কথা জানার পর। টুইটারে লিখলেন, ''আমি এখন থেকে স্বপ্নার আরও বড় ফ্যান। ওর লড়াইয়ের কথা জানতে পারলাম। প্রতিটা পায়ে ছটা করে আঙুল, মুখে ব্যান্ডেজ বেঁধে ইভেন্টে নামা, ওর বাবা একজন রিক্সাচালক। এছাড়াও ওর হাজার একটা লড়াইয়ের কথা জানতে পারলাম। মেয়ের সোনা জয়ের পর ওর মায়ের এমন ছবি খুব স্বাভাবিক। ঈশ্বরকে অনেক ধন্যবাদ।''
Have become an even bigger admirer of Swapna Barmam after coming to know of the struggles she had to go through. 6 toes in each leg, bandaged jaw, father a rickshaw puller and countless struggles. This is her mother watching her win the Gold on television, thanking the almighty pic.twitter.com/GNBVPw1kDO
— Virender Sehwag (@virendersehwag) August 30, 2018
এশিয়ান গেমসের পর এবার ওলিম্পিকে চোখ জলপাইগুড়ির স্বপ্নার। তাঁর কোচ সুভাষ সরকারও আপাতত ছাত্রীকে ওলিম্পিকে কোয়ালাফাই করানোর ব্যাপারে লক্ষ্য স্থির করে রেখেছেন। এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ের পর স্বপ্না বলেছিলেন, ''এই পদকটা জয়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি নিজের স্বপ্নকে ছুঁয়ে ফেললাম। সেইসঙ্গে কোচের আশা জিইয়ে রাখলাম। ক্রীড়া দিবসে জেতা এই পদক আমার কাছে স্পেশাল। চোট নিয়ে খেলেছি। সঙ্গে দাঁতে ব্যথা। তবে পদক জয়ের জন্য নিজেকে উজাড়া করে দিয়েছিলাম।''