Sachin Tendulkar and Vinod Kambli : কোনও সঞ্চয় নেই, নামমাত্র পেনশনে কোনওরকমে দিন কাটছে সাড়া জাগানো ক্রিকেটারের!
Sachin Tendulkar and Vinod Kambli : আর তাঁর ছোটবেলার বন্ধু সচিন? তিনি কি বন্ধুর দুঃসময়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন? কাম্বলি জানালেন, "সচিন আমার পরিস্থিতির কথা সব জানে। কিন্তু ওর থেকে কিছু আশা করছি না। ও আমাকে 'তেন্ডুলকর মিডলসেক্স গ্লোবাল অ্যাকাডেমি'-তে কাজ দিয়েছিল। খুব খুশি হয়েছিলাম। ও এখনও আমার ভাল বন্ধু। সবসময় আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই ওর আমার বাড়তি আশা নেই।"
জি ২৪ ঘন্টা ব্যুরো রিপোর্ট: কাজকর্ম নেই। বাড়িতে বসে কেটে যাচ্ছে সময়। আয় মাত্র বিসিসিআই-এর (BCCI) থেকে পাওয়া ৩০ হাজার টাকা। পেনসনের এই অর্থ দিয়ে সংসার চালাতে পারছেন না। ব্যাপক আর্থিক অনটনে ভুগছেন। ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে চান, যাতে স্ত্রী ও সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারেন। তাই ক্রিকেটে ফিরে আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন বিনোদ কাম্বলি (Vinod Kambli)। এমন প্রেক্ষাপটে ছোটবেলার বন্ধু সচিন তেন্ডুলকরকে (Sachin Tendulkar) নিয়েও মন্তব্য করলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন বাঁহাতি মিডল
১৭টি টেস্ট ও জাতীয় দলের হয়ে ১০৪টি একদিনের ম্যাচ খেলছেন ৫০ বছরের কাম্বলি। আপাতত পেনশন হিসেবে বোর্ড থেকে মাসিক ৩০ হাজার টাকা পান। কিন্তু তা দিয়ে সংসার চালানো তাঁর পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে উঠছে। করোনার আগে তেমন কোনও সমস্যা ছিল না। ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি মুম্বই লিগে কোচের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। তাছাড়া নেরুলে সচিনের 'তেন্ডুলকর মিডলসেক্স গ্লোবাল অ্যাকাডেমি'-তে (Tendulkar Middlesex Global Academy) মেন্টর হিসেবে তরুণ ক্রিকেটারদেরও প্রশিক্ষণ দিতেন এই বিতর্কিত বাঁহাতি ব্যাটার। ফলে আর্থিক সমস্যা একেবারে ছিল না। কিন্তু পরবর্তী সময় যাতায়াতের সমস্য়ার জন্য ওই অ্যাকাডেমিতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন কাম্বলি।
আরও পড়ুন: FIFA Bans AIFF: ফিফা থেকে নির্বাসিত এআইএফএফ, কী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট? জেনে নিন
আরও পড়ুন: ZIM vs IND : ধাওয়ানের জায়গায় কেন রাহুল! অধিনায়কত্ব বদল নিয়ে বিষোদ্গার প্রাক্তন মহারথীর
কাম্বলি বলছেন, "ভোর ৫টায় উঠে ট্যাক্সিতে ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে যেতাম। খুবই খাটনি হত। তারপর আবার সন্ধেয় বিকেসি-তে (বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে) কোচিং করাতাম। কিন্তু কোভিডের পর থেকে সব বদলে গিয়েছে। এরপরই যোগ করেন, "আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন ক্রিকেটার। যার সংসার চলে বিসিসিআইয়ের পেনশনে। তার জন্য আমি বোর্ডের কাছে কৃতজ্ঞ। এই আয় দিয়েই পরিবারের দেখভাল করতে হচ্ছে কিন্তু বর্তমানে যে হারে নৈনন্দিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে এই অর্থে সংসার চালানো দুঃসহ হয়ে উঠছে। সেই কারণেই নতুন কাজের খোঁজে সবার কাছে অনুরোধ করছি।"
আর তাঁর ছোটবেলার বন্ধু সচিন? তিনি কি বন্ধুর দুঃসময়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন? কাম্বলি জানালেন, "সচিন আমার পরিস্থিতির কথা সব জানে। কিন্তু ওর থেকে কিছু আশা করছি না। ও আমাকে 'তেন্ডুলকর মিডলসেক্স গ্লোবাল অ্যাকাডেমি'-তে কাজ দিয়েছিল। খুব খুশি হয়েছিলাম। ও এখনও আমার ভাল বন্ধু। সবসময় আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই ওর আমার বাড়তি আশা নেই।"
সেইজন্য মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার (Mumbai Cricket Association) কাছেও দরবার করেছিলেন। তবে লাভ হয়নি। কাম্বলী ফের বলছেন, “সাহায্যে জন্য আমি মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার মুখাপেক্ষী। সংস্থার কর্তাদের জানিয়েছি, সংসার চালানোর জন্য অর্থের প্রয়োজন। কোনও কাজ থাকলে দিতে। আমার জীবনে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার অনেক অবদান রয়েছে। তাই তারা কোনও কাজ দিয়ে আবারও আমায় সাহায্য করতে পারে কি না, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছি। এমসিএ-এর সভাপতিকেও নিজের অবস্থার কথা জানিয়েছি। তবে লাভ হয়নি। ওরা আমাকে 'ক্রিকেট ইম্প্রুভমেন্ট কমিতি'-তে রেখেছে। তবে সেটা তো সাম্মানিক পদ। অর্থ রোজগার করা সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে সংসার চালানোর জন্য টাকার দরকার। তাই সবার কাছে কাজ চেয়ে বেড়াচ্ছি।"
সত্যি মানুষের জীবন কত বদলে যায়। মুম্বই ক্রিকেটের আঁতুড়ঘর শিবাজি পার্ক থেকে দুজনেই উঠে এসেছেন। প্রয়াত রমাকান্ত আচরেকরের তত্বাবধানে দুজন ক্রিকেট পাঠ নিয়েছেন। সচিনের ছিল স্কিল। সঙ্গে নিয়মানুবর্তিতা। তাই তিনি 'গড অফ ক্রিকেট' হয়ে উঠেছেন। আর বন্ধু কাম্বলী হারিয়ে গেলেন স্রেফ বোহেমিয়ান জীবনযাপনের জন্য। এক সময়ের বিতর্কিত 'সুপারস্টার'-এর জীবন কাটছে আর্থিক কষ্টে।