Neeraj Chopra: নীরজের অলিম্পিক্সের 'সোনা'র বর্শা নেই ভারতে! এ কী কাণ্ড
টোকিও অলিম্পিক্সে জ্যাভলিন ছুড়ে দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন। নীরজের সেই 'সোনা'র বর্শা চলে গেল সুইজারল্যান্ডের লোজানে অবস্থিত অলিম্পিক মিউজিয়ামে (Olympic Museum)। এখন নীরজের জ্যাভলিনের ঠিকানা এই বিশেষ জাদুঘর।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে শ্যুটিংয়ে সোনা জিতেছিলেন অভিনব বিন্দ্রা (Abhinav Bindra)। ঠিক ১৩ বছর নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra) টোকিও অলিম্পিক্সে জ্যাভলিন ছুড়ে দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন। নীরজের সেই 'সোনা'র বর্শা চলে গেল সুইজারল্যান্ডের লোজানে অবস্থিত অলিম্পিক মিউজিয়ামে (Olympic Museum)। এখন নীরজের জ্যাভলিনের ঠিকানা এই বিশেষ জাদুঘর। নীরজ জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে নিজের হাতে ওই বিশেষ বর্শা উপহার দিয়ে এসেছেন। নীরজের সঙ্গে ছিলেন বিন্দ্রাও। হরিয়ানার নক্ষত্র অ্যাথলিট একাধিক ছবি দিয়ে ট্যুইট করে জানিয়েছেন এই খবর।
নীরজ লেখেন, 'এই জাদুঘরে আসাটা এটা অত্যন্ত সম্মানের। অলিম্পিক মিউজিয়ামকে আমার টোকিওর জ্যাভলিন দান করে এলাম। আশা করি এই মিউজিয়ামে আমার বর্শার উপস্থিতি তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। স্বপ্নপূরণের জন্য কঠিন পরিশ্রম করবে তাঁরা। এই বিশেষ মুহূর্ত আরও বিশেষ, কারণ অভিনব বিন্দ্রা স্যার রয়েছেন আমার সঙ্গে।' গতবছর ৭ অগস্ট নীরজ অলিম্পিক্স ফাইনালের দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ৮৭.৫৮ মিটার ছুঁডে় সোনার পদক দখল করে নিয়েছিলেন। ফাইনালের শুরুতেই প্রথম রাউন্ডে নীরজ ছুড়ে পার করেছিলেন ৮৭.০৩ মিটার, দ্বিতীবার নিজেকে ছাপিয়ে ছুড়লেন ৮৭.৫৮ মিটার।এই দুটি থ্রোয়ের পরেই সোশ্যাল মিডিয়া বলতে শুরু করে দিয়েছিল 'ইটস কামিং হোম'। অর্থাৎ নীরজ সোনা নিয়েই টোকিও থেকে ফিরছেন। তবে তৃতীয় চেষ্টায় নিরাশ করেন নীরজ। মাত্র ৭৬.৭৯ মিটার ছুড়তে পারেন তিনি। চতুর্থবার ফাউল করে বসেন।
নীরজ রয়েছেন সুইজারল্যান্ডেই রয়েছেন। দিন তিনেক আগে তিনি কুঁচকির চোট সরিয়ে নেমেছিলেন ডায়মন্ড লিগের (Diamond League) ফাইনালে। প্রত্যাবর্তনেই ইতিহাস লিখেছেন তিনি। লোজান লেগে তিনি শীর্ষস্থান দখল করেন ৮৯.০৮ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন নিক্ষেপ করে। এই ইভেন্টে প্রথম কোনও ভারতীয় হিসাবে সোনা জয়ের ইতিহাস লেখেন নীরজ। এর আগে ডায়মন্ড লিগের কোনও মিটে একমাত্র ডিসকাস থ্রোয়ার বিকাশ গৌড়াই প্রথম তিনে থেকে অভিযান শেষ করেছিলেন। গৌড়া ২০১২ সালে নিউ ইয়র্ক ও ২০১৪ সালে দোহায় ডায়মন্ড লিগ মিটে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে সাংহাই ও ইউজিনের ইভেন্টে হয়েছিলেন তৃতীয়।