রাস্তার কুকুর-বিড়াল পাচার হবে বিদেশে, সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন সালাহ

নিজের পোষা দুটো সিয়ামিজ বিড়ালের ছবিও তুলে দিলেন সালাহ।

Updated By: Nov 28, 2018, 08:28 PM IST
রাস্তার কুকুর-বিড়াল পাচার হবে বিদেশে, সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন সালাহ

নিজস্ব প্রতিনিধি : পথপশুর সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছিল। তা নিয়ে নাগরিকদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরে সরকারের দৃষ্ট আকর্ষণ করার চেষ্টা করছিল। বারবার আবেদন করা হচ্ছিল, পথপশুদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য করতে যেন সরকারের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত মহম্মদ সালাহর দেশের সরকারের ঘুম ভাঙেনি। আচমকা ঘুম ভাঙল এবং সে দেশের সরকার এক আজব সিদ্ধান্তের কথা জানাল। আর তাতে নাগরিকের একাংশ অবশ্য সম্মতি জাহির করল বটে। কিন্তু মহম্মদ সালাহর মতো অনেকে এমন আজব সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বসলেন। জানালেন, এই ধরণের সিদ্ধান্ত কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। পথপশু হলেও প্রাণী অধিকার বলে একটা প্রসঙ্গ রয়েছে। সেটা কোনওভাবেই কোনও দেশের সরকার লঙ্ঘন করতে পারে না। 

আরও পড়ুন-  এটাই কি গত একশো বছরের সেরা গোল মিস? বিশ্ব ফুটবলে উঠছে প্রশ্ন

মিশরের কৃষি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, রাস্তার প্রায় চার হাজার কুকুর-বিড়াল বিদেশে রপ্তানি করা হবে। মিশরের রাস্তায় কুকুর-বিড়ালের সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ সরকারের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। তাই পথপশুদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতেই মিশর সরকারের এমন সিদ্ধান্ত। মিশরের সংবাদমাধ্যমের দেওয়া রিপোর্ট বলছে, ২ হাজার ৪০০ বিড়াল আর ১ হাজার ৬০০ কুকুরের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা প্রক্রিয়াকরণ করার পর পাঠানো হবে বিদেশে। তবে কোন কোন দেশে পাঠানো হবে, তা নিয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। কেনই বা পাঠানো হবে, তা নিয়েও কোনও তথ্য নেই। প্রাণী অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করা সংগঠনগুলো অনেক আগে থেকেই সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছিল। এবার প্রতিবাদে যোগ দিলেন মিশরের জনপ্রিয় ফুটবলার মহম্মদ সালাহ্। 'নো টু অ্যানিমেল রাইটস ভায়োলেশন' হ্যাশট্যাগ দিয়ে সালাহ টুইটে লিখলেন, বিড়াল-কুকুর কোথাও রপ্তানি করা যাবে না। এমনটা হয় না। হতে পারে না। সঙ্গে নিজের পোষা দুটো সিয়ামিজ বিড়ালের ছবিও তুলে দিলেন সালাহ। তাঁর এমন টুইটের পর প্রাণী অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করা সংগঠনগুলো যেন লড়াই চালানোর রসদ পেল। 

আরও পড়ুন-  ফুটবল খেলাটা কি এতই সহজ! মেসির এই স্কিল দেখে দ্বন্দ্বে পড়বেন না তো?

লিভারপুলের ফুটবলার সালাহর মতো মিশরের অনেকেই মনে করেন, অন্য দেশে সেইসব বিড়াল-কুকুরকে পাঠানো হচ্ছে খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করার জন্য। অনেকে অবশ্য সালাহর এই প্রতিবাদের প্রতিবাদ করেছেন। তারা বলেছেন, 'আগে মানবাধিকার। তার পর প্রাণী অধিকারের প্রসঙ্গ আসবে।'

.