প্রেমিক যুগলের সাত খুনে ফাঁসির ওপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
২০০৮ সালে পরিবারের ১০ মাসের শিশু সহ সাতজন সদস্যকে খুন করা প্রেমিকযুগলের মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এ কে সিকরি ও ইউ ইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে এই ব্যাপারে জানতে চেয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ মে, বুধবার। ২০১০ সালে দায়রা আদালতে প্রেমিকা শাবনাম ও প্রেমিক সেলিমের ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। সেলিম ও শবনমের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রেখেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ২০১৩ সালের সেই রায়কে সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখে।

ওয়েব ডেস্ক: ২০০৮ সালে পরিবারের ১০ মাসের শিশু সহ সাতজন সদস্যকে খুন করা প্রেমিকযুগলের মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এ কে সিকরি ও ইউ ইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে এই ব্যাপারে জানতে চেয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ মে, বুধবার। ২০১০ সালে দায়রা আদালতে প্রেমিকা শাবনাম ও প্রেমিক সেলিমের ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। সেলিম ও শবনমের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রেখেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ২০১৩ সালের সেই রায়কে সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখে।
দুজনের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় সেলিম ও শবনাম খুনের ষড়যন্ত্র করে। প্রেমিক যুগলের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার প্রধান কারণ ছিল শবনম ছিল বিবাহিত। যুগলের সেই ষড়যন্ত্র মত ২০০৮ সালের ১৫ এপ্রিল শবনামের পরিবারের সবাইকে খুন করে প্রেমিক-প্রেমিকা। খুন হয় শবনমের বাবা-মা, দুই ভাই, তাদের স্ত্রীরা। সেলিম-শবনমের নৃশংস হত্যালীলায় বাদ যায়নি ভাইয়ের ১০ মাসের পুত্র সন্তানও।
সাত জনের খুনের খবর জানাজানি হওয়ার পর শবনম দাবি করেছিল, তাদের উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বাড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে ওদের খুন করেছে। কিন্তু তদন্তে বেরিয়ে আসে, শবনমই খুনে প্ররোচনা দেয় সেলিমকে। মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে বাড়ির লোকজনকে অজ্ঞান করে সবাইকে কুপিয়ে খুন করা হয়।