মুম্বইয়ের অ্যারে কলোনিতে আর একটি গাছও কাটা যাবে না, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
প্রবল বিরোধিতার মুখে চাপ বাড়ছিল মহারাষ্ট্র সরকারের উপর। এরই মাঝে শীর্ষ আদালতের এমন নির্দেশ!

নিজস্ব প্রতিবেদন : অ্যারে কলোনিতে আর একটি গাছও কাটা যাবে না। মহারাষ্ট্র সরকারকে এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মেট্রোর ‘কারশেড’ তৈরির জন্য অ্যারে কলোনিতে বৃক্ষ নিধনের জেরে ধুন্ধুমার বেঁধেছিল মুম্বইয়ে। একের পর এক সমাজকর্মী পথে নেমেছিলেন। প্রবল বিরোধিতার মুখে চাপ বাড়ছিল মহারাষ্ট্র সরকারের উপর। এরই মাঝে শীর্ষ আদালতের এমন নির্দেশ! তবে এখনও অ্যারে কলোনিতে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়নি। যা নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে।
আরও পড়ুন- বিক্রি হচ্ছে ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা! নভেম্বরেই প্রস্তাব পেশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়
৩৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছিল। ২৯ জন সমাজকর্মী গ্রেফতার হয়েছিলেন বিরোধিতা করার জন্য। তবে গাছ বাঁচাতে তাঁদের এই লড়াই সার্থক হল। রবিবার সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার ভিত্তিতে সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, অ্যারে কলোনিতে আর একটি গাছও কাটা যাবে না। সমাজকর্মীদের একাংশ জানিয়েছে, রাতারাতি প্রায় হাজার গাছ কাটা হয়ে গিয়েছে। ওই অঞ্চলে প্রায় ২৭০০টি গাছ কাটার পরিকল্পনা করে ফেলেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। একজন আইনের ছাত্র এর পরই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে চিঠি লিখে জানান, আইন না মেনে নির্বিচারে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। এর পরই অ্যারে কলোনিতে গাছ নিধনের ঘটনায় নজর পড়ে সুপ্রিম কোর্টের।
আরও পড়ুন- বিপুল সাফল্য প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার, এক বছরে চিকিত্সা পেলেন ৯০,০০০ ক্যান্সার রোগী
বিক্ষোভকারীদের অনেকে জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে পুলিস। তবে বিক্ষোভকারীদের হটানো যায়নি। অনেকেই বুলডোজারের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। ওদিকে, মুম্বই পুলিসের দাবি, তাদের উপর বিক্ষোভকারীদের একাংশ হামলা চালিয়েছিল। বৃহন্মুম্বই পুরসভা ওই অঞ্চলের গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর পরই প্রতিবাদে নামেন সমাজকর্মীরা। তবে তাঁরা আশঙ্কা করেছিলেন, আদালত খোলার আগেই হয়তো গাছ কেটে সাফ করে দেওয়া হবে। তবে আদালতের নির্দেশে এবার সমস্যায় পড়ল মহারাষ্ট্র সরকার।