প্রধান বিচারপতি গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ খারিজ সুপ্রিম কোর্টের প্যানেলের
মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি গগৈ। তিনি বলেছিলেন, সঙ্কটের মুখে দেশের বিচারব্যবস্থা। যিনি শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন, তাঁর পিছনে বড় শক্তি কাছ করছে বলে অভিযোগ করেন প্রধান বিচারপতি
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্টের প্যানেল। আজ শীর্ষ আদালতের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি জানিয়ে দিল, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। এক বিবৃতিতে আদালত জানায়, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন মহিলা কর্মী যে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারপতিদের হলফনামা দেন ওই মহিলা। সুপ্রিম কোর্টেরই জুনিয়র কর্মী ছিলেন। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। এমনকি জেলেও কাটান বেশ কিছুদিন। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওই মহিলা আরও অভিযোগ আনেন, তাঁর পরিবারের সদস্যের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাঁর স্বামীর দিল্লি পুলিস থেকে চাকরি যায় বলে দাবি ওই মহিলার।
তবে, মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি গগৈ। তিনি বলেছিলেন, সঙ্কটের মুখে দেশের বিচারব্যবস্থা। যিনি শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন, তাঁর পিছনে বড় শক্তি কাছ করছে বলে অভিযোগ করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের আর্জি জানান আইনজীবী উত্সব বেইনস। উত্সবের কথায়, “সঙ্কটে দেশের বিচারব্যবস্থা। এর আগে দেখেছি, সিবিআই-কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে।” পুলিসের দ্বারস্থ না হওয়ার পিছনে উত্সব যুক্তি দেন, রাজ্যের অধীনে কাজ করে পুলিস। যে রাজ্য শাসক দলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। পাশাপাশি, প্রশ্ন তোলেন শীর্ষ আদালতের বার কাউন্সিলের ভূমিকা নিয়ে। তাঁর অভিযোগ, এই মুহূর্তে দ্বিধাবিভক্ত বার কাউন্সিলের সদস্যরা। সস্তার রাজনীতি করা হচ্ছে যা একজন আইনজীবী হিসাবে উদ্বেগের বিষয়।
আরও পড়ুন- শরিকের সাহায্যেই ক্ষমতায় বিজেপি! একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সন্দিহান রাম মাধব
উল্লেখ্য, উত্সব ফেসবুকে অভিযোগ করেছিলেন, প্রধান বিচারপতির পদ থেকে রঞ্জন গগৈকে সরাতে বড় ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যার পিছনে একাংশ বিচারপতি, ব্যবসায়ী, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদরা রয়েছেন বলে দাবি উত্সবের। এ দিন বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি এন ভি রামান্নাকে নিয়ে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়। ওই প্যানেলের অধীনে তদন্ত খতিয়ে দেখা হবে। এ দিন সিট গঠনের আর্জি জানান সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। আইনজীবী উত্সব বেইনসকে পুলিসি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে। বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, “এই প্রথম নির্ভয় চিত্তে কড়া পদক্ষেপ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।”