মধ্যপ্রদেশের পুনরাবৃত্তি রাজস্থানে? BJP-তে সচিন? স্পষ্ট হবে বুধবার সকাল ১০টায়
সূত্রের খবর, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়েই সচিনের সঙ্গে দলের বিবাদের সূত্রপাত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সচিন পাইলটের মানভঞ্জনের চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরানোর কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। এমতাবস্থায় কী করবেন সচিন পাইলট (Sachin Pilot)? তাঁর বন্ধু জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিজেপিতে যোগ দেবেন নাকি বিকল্প পথ? এখনও অস্পষ্ট। আগামিকাল, বুধবার সকাল ১০টায় সাংবাদিক বৈঠকেই নিজের আগামীর পরিকল্পনার কথা শোনাবেন সচিন পাইলট।
রাজস্থানে প্রবীণ-নবীন সংঘাতে 'বিদ্রোহী' সচিন পাইলটকে (Sachin Pilot) ঘরে ফেরাতে পারল না কংগ্রেস। তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই মন্ত্রী বিশ্ববেন্দ্র সিং ও রমেশ মিনাও গদিচ্যুত হয়েছেন। পরিষদীয় দলের বৈঠকের পর রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের সঙ্গে দেখা করে মন্ত্রিসভা থেকে সচিন পাইলটকে বরখাস্তের কথা জানান অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। ওই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল। এরপরই টুইটারে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সচিন পাইলট। তাঁর মন্তব্য,'সত্যকে অতিষ্ট করা যেতে পারে, তবে পরাজিত নয়।'
सत्य को परेशान किया जा सकता है पराजित नहीं।
— Sachin Pilot (@SachinPilot) July 14, 2020
সূত্রের খবর, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়েই সচিনের সঙ্গে দলের বিবাদের সূত্রপাত। দলের কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদের আবদার করেছিলেন পাইলট। কিন্তু, সেই আবদান রাখেনি হাইকম্যান্ড। বরং সচিন পাইলটের ঘনিষ্ঠদের পদ দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও নাকি বরফ গলেনি। সচিন পাইলট দাবি করে বসেন, রাজস্থানে কংগ্রেসের শাসনকালের শেষ বছরে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসানো হোক। এমন দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয় সচিনকে।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সরাসরিই অভিযোগ করেছেন, গত ৬ মাস ধরে তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এতে প্রবীণ-নবীন নেতার মাঝে ব্য়বধান আরও চওড়া করে দেয়। বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগের তদন্তে নামে রাজস্থান পুলিস। আর সেই সূত্রে নোটিস পাঠানো হয় খোদ উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটকে। রাজ্য পুলিসের এহেন পদক্ষেপ গেহলটের নির্দেশ ছাড়া অসম্ভব! যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁকেও পুলিসি জেরার মুখে পড়তে হতে পারে। পুলিসের নোটিস পেয়ে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে সচিন পাইলটের। সিন্ধিয়ার পর আরও এক তরুণ নেতাকে হারাল কংগ্রেস। খেসারত কি রাজস্থানের ক্ষমতা হারিয়ে দিতে হবে? তা স্পষ্ট হবে কয়েকদিনেই।
আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: বন্যায় কোমর জলে নেমে মানুষ-গবাদি পশুদের উদ্ধার করছেন BJP বিধায়ক