ঘাসের রুটি আর আগাছার তরকারি খেয়ে দিন কাটছে বুন্দেলখণ্ডের কৃষকদের
আগে গরুকে খাওয়ানো হত। এখন নিজেরাই খাচ্ছেন সেই ঘাস। এখন গরুকে ঘাস খাওয়ানোটা বিলাসিতা। কারণ নিজেদেরই খাবার নেই। মন্বন্তরের পরিস্থিতি উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ডের বেশকিছু অঞ্চলে। গবাদি পশুর খাবার খেয়ে বাঁচতে চাইছেন বুন্দেলখণ্ডের কৃষকরা।

ওয়েব ডেস্ক: আগে গরুকে খাওয়ানো হত। এখন নিজেরাই খাচ্ছেন সেই ঘাস। এখন গরুকে ঘাস খাওয়ানোটা বিলাসিতা। কারণ নিজেদেরই খাবার নেই। মন্বন্তরের পরিস্থিতি উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ডের বেশকিছু অঞ্চলে। গবাদি পশুর খাবার খেয়ে বাঁচতে চাইছেন বুন্দেলখণ্ডের কৃষকরা।
বহুকাল বৃষ্টি হয়নি। ঝলসে গেছে সবুজ। । দুহাজার সাত আট থেকে চাষবাস প্রায় বন্ধ। বুন্দেলখণ্ডের অধিকাংশ এলাকাই একটানা খরার কবলে। পেটের দায়ে অনেকেই ভিটেমাটি ছেড়েছেন। আর যাঁরা রয়ে গেছেন, তাঁরা বেঁচে আছেন শুধু ঘাসবীজ খেয়ে।
বুন্দেলখণ্ডের একাংশ মধ্যপ্রদেশে। বাকিটা উত্তরপ্রদেশে। এরমধ্যে উত্তরপ্রদেশের দিকে থাকা অধিকাংশ এলাকার কৃষকেরা এখন জড়িয়ে ঋণফাঁদে। অথচ দুহাজার আটে বুন্দেলখণ্ডের জন্য সাত হাজার দুশ ছেষট্টি কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই টাকা কোথায় গেছে জানেন না এখানকার বাসিন্দারা। বছরের পর বছর ধরে চলা খরায় আর বীজ শস্য নেই। নেই গবাদি পশু। মার্কন্ডের দোর্দণ্ডপ্রতাপে শুকিয়েছে আগাছা, এমনকি ঘাসও। আর সেই শুকিয়ে যাওয়া ঘাস থেকে টিকে থাকার রসদ খুজে নিচ্ছে বুন্দেলখণ্ড। এলাকার লালওয়াদি গ্রামের মানুষরা দিন কাটাচ্ছেন ফিকার নামে একধরণের ঘাস খেয়ে।